বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ। আবহমানকাল যাবৎ এদেশের আবহাওয়া জলবায়ু এবং ভূ-প্রকৃতির সাথে ছয় ঋতু ওৎ প্রোত ভাবে জড়িত। কিন্তু বাস্তবতা হলো সা¤প্রতিক বছর গুলোতে আমাদের দেশের চিরচারিত ছয় ঋতুর ছন্দ পতন ঘটেছে। আর তাই দৃশ্যমান ছয় ঋতুর বাংলাদেশ বর্তমান সময়গুলোতে গুটি কয়েক ঋতুতে পরিনত হয়েছে। শীত ঋতু আমাদের ছয় ঋতুর অন্যতম, এ বছর শীত ঋতু অনেক পূর্বেই শুরু হলেও শীত শেষ হয়েছে অনেক দেরীতে। গত সপ্তাহেও শীতের আবহ ছিল, ঋতু পরিবর্তনের কারনে প্রকৃতিতে কতটুকু পরবর্তন এবং পরিবর্ধন সাধিত হয়েছে তার বিশেষ উদাহারন দেওয়া যায় গতকাল রবিবার চৈত্রের খরতাপ যখন প্রকৃতিকে তার আগমনী বার্তা জানান দিচ্ছে তখন কুয়াশার চাদর মেলেছে প্রকৃতির মাঝে। চৈত্র মাসে সকালে কুয়াশার দেখা পাওয়া প্রকৃতির এক ধরনের অভিশাপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ছয় ঋতুর স্বাভাবিকতা শীতের সময় শীত, বর্ষার সময় কাঙ্খিত বৃষ্টিপাত এবং গ্রীষ্মের সময় গরম এটাই বাস্তবতা। কিন্তু বিপরীত মুখি চিত্র হলো বর্ষা মৌসুমে কাঙ্খিত বৃষ্টিপাতের দেখা না পাওয়া এবং কোন কোন সময় অতি বৃষ্টিপাত আকাশ বন্যা ছয় ঋতুকে বিবর্ন, বিধ্বংস করে তুলছে। এবারের বর্ষা মৌসুমে তেমনই দেখা গেছে, ব্যাপক পরিমান বৃষ্টিপাত এবং কয়েকবার আকাশ বন্যার কারনে সাতক্ষীরার অর্থনীতিতে ছন্দপতন ঘটে। সাতক্ষীরার বাস্তবতায় অর্থনীতির যে ক্ষতি তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বৃষ্টিপাতের আধিক্য এতটুকু সীমা বিস্তৃত করে যে শীত মৌসুমে অর্থাৎ শীতের মধ্যেও একাধিক বার বৃষ্টিপাত জনজীবনকে বিপন্ন করে তোলে। ছয় ঋতুর বাংলাদেশ বর্তমান সময় বিবর্ণ এবং হলুদাভাব, আর এর অন্যতম কারন জলবায়ূর পরিবর্তন। এই সমস্যা কেবল সাতক্ষীরার জন্য নয়, সমগ্র বাংলাদেশের আর তাই অবিলম্বে জলবায়ূ পরিবর্তন রোধ করতে হবে।