শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৪৭ অপরাহ্ন

বিপর্যস্থ, বিরক্ত, বিড়ম্বনায় বিদ্যুৎ গ্রাহকরা

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার ঃ চলছে প্রচন্ড তাপদাহ, ঘর হতে বের হওয়ার উপক্রম নেই। কিন্তু কিছু কাজ সারতে জন সমাজকে বের হতে হচ্ছে তাও আবার সূর্যের প্রখরতা থাকতেই। এমনই এক বিষয় বিদ্যুতের বিল পরিশোধের সময়। আর এই সময়টি তাপদাহের ভয়াবহতা। সাতক্ষীরার বাস্তবতায় বিদ্যুৎ বিভাগ ও দুইটি ব্যাংকে বিল পরিশোধের একমাত্র মাধ্যম। হাজার হাজার গ্রাহককে নির্দিষ্ট কয়েক দিনে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে আসতে হয়। প্রখর রৌদ্র আর তাপদাহের মধ্যে দীর্ঘলাইনে দাঁড়ানো, ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষার অতিষ্টকর কষ্ট সর্য্য করতে হচ্ছে গ্রাহকদের। পরিস্থিতি এতটুকু ভয়াবহ রুপ ধারন করেছে যে লাইনে দাঁড়ানো অপেক্ষারতদের কেউ কেউ মাথা ঘুরে পড়ে যাচ্ছে। বৃদ্ধ এবং নারী গ্রাহকরা সর্বাপেক্ষা অস্বস্থিকর পরিস্থিতির মুখে পড়ছে। নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে বিল পরিশোধে ব্যর্থ হলে জরিমানা গুনতে হয়। আবার এক মাস, দুই মাস বিল দিতে না পারায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ঘটনা ঘটে। সাতক্ষীরার গ্রাহকরা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের ক্ষেত্রে বলা যায় দুর্বিসহ সময় অতিক্রম করছে। বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে গ্রাহকরা কেবল কষ্টকর অসহনীয় পরিবেশের মুখোমুখি হচ্ছে তা নয় রীতিমত বিরক্ত, বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে। গতকাল সরেজমিন একাধিক বুধ পরিদর্শনে দেখাগেছে বীর মুক্তিযোদ্ধা, অবরসপ্রাপ্ত সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারী, বৃদ্ধ এবং নারীরা সর্বাপেক্ষা অসহনীয় পরিস্থিতির মুখে পর্যবসিত। অনেকে বিপর্যয়কর তাপদাহ সইতে না পেরে লাইন ত্যাগ করে বাড়ী ফিরছে। সাতক্ষীরা বিদ্যুৎ বিভাগ সহ দুটি ব্যাংক বিদ্যুৎ বিল জমা নিলেও ওয়ান ব্যাংক নিয়মিত নয় অর্থাৎ মাঝে মধ্যে রিচার্জ করা সম্ভব হয়। আর এবি ব্যাংকে পবিত্র মাহে রমজানের আগে থেকেই বন্ধ রয়েছে। মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ তথা রিচার্জ করার সুযোগ থাকলে অধিকাংশ গ্রাহক এই প্রযুক্তিতে পরিচিত নয় আর যারা মোবাইলের মাধ্যমে রিচার্জ করতে চান তারা অফিস সময়ে বিড়ম্বনার মুখে পড়ে সার্ভেয়ার জটিলতা দেখা দেয়। সরকারের এই সেবাখাত যেমন গুরুত্বপূর্ণ অনুরুপ বিল পরিশোধ ও আদায় অতি জরুরী অন্যদিকে গ্রাহকদের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে নতুন নতুন ব্যাংকের রিচার্জের বুথ সংশ্লিষ্টতা অপরিহার্য। তাপদাহের কল্যানে অতিষ্ট গ্রাহকদের কষ্টকর পরিস্থিতি ও অসুবিধা দুরীকরনের বিষয়ে সাতক্ষীরা ওজোপাডিকো নির্বাহী প্রকৌশলী মামুনুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন গ্রাহকরা কষ্ট পেলে আমার কিছু করার নেই। দশটাকা কমানোর জন্য গ্রাহকরা এখানে ভিড় করে, তিনি মোবাইলের মাধ্যমে টাকা রিচার্জ করার পরামর্শ দেন, ব্যাংকে যথাযথ ভাবে টাকা রিচার্জ হচ্ছে না এ বিষয় ও তিনি জানেন না। দশটাকার বাঁচানোর জন্য গ্রাহকরা বিদ্যুৎ অফিসে আসে, দশটাকা কি টাকা নয়, মোবাইলে রিচার্জ করতে পারে একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার বক্তব্য গ্রাহক বান্ধব না কি গ্রাহক সেবার পরিপন্থী সে বিষয়টি নিশ্চয়ই বিদ্যুৎ বিভাগের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা বিবেচনা করবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com