এফএনএস স্পোর্টস: আসিথা ফার্নান্দোর বলে উপড়ে গেল সৈয়দ খালেদ আহমেদের মিডল স্টাম্প। শূন্য রানে বাংলাদেশের শেষ ব্যাটসম্যানের বিদায়ে শেষ হলো দলের ইনিংস। একই সঙ্গে অনাকাক্সিক্ষত এক বিশ্বরেকর্ডেও নাম লেখা হয়ে গেল বাংলাদেশের। এক টেস্টে ৯ শূন্য! শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১০ উইকেটে হেরে যাওয়া মিরপুর টেস্টে বাংলাদেশের ৯ ব্যাটসম্যান আউট হন শূন্য রানে। টেস্ট ক্রিকেটের ১৪৫ বছরের ইতিহাসে এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ব্যাটসম্যানের খালি হাতে বিদায় নেওয়ার রেকর্ড এটিই। বাংলাদেশ এখানে স্পর্শ করল শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের রেকর্ড। বিব্রতকর এই রেকর্ডের পথে বাংলাদেশ অনেকটা এগিয়ে যায় প্রথম ইনিংসেই। ৬ জন শূন্য রানে ফিরে তখন ছুঁয়ে ফেলে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি শূন্য রানে আউটের রেকর্ড। দ্বিতীয় ইনিংসে আরও ৩ ব্যাটসম্যানের শূন্য রানে বিদায়ে ম্যাচের রেকর্ডও হয়ে যায়। অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবাল ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ‘পেয়ার’ পান এই টেস্টে, মানে দুই ইনিংসেই শূন্য রানে আউট হন। এ ছাড়া শূন্যতে ফেরেন প্রথম ইনিংসে মাহমুদুল হাসান জয়, সাকিব আল হাসান, মোসাদ্দেক হোসেন, ইবাদত হোসেন ও খালেদ। দ্বিতীয় ইনিংসেও শূন্যতে ফিরে খালেদ পান ‘পেয়ার’, এছাড়াও শূন্যতে ফেরেন এবার অধিনায়ক মুমিনুল হক। এবারের আগে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শূন্য ছিল ৮টি, ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জ্যামাইকা টেস্টে। এক ম্যাচে ৯ শূন্য প্রথম কোনো দলের হয়েছিল ১৯৯০ সালে। ভারতের বিপক্ষে চন্ডিগড়ে সেই অভিজ্ঞতা হয়েছিল অর্জুনা রানাতুঙ্গার শ্রীলঙ্কার। এরপর ২০০০ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ব্রিজবেন টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৯ ব্যাটসম্যানও আউট হন শূন্য রানে। এবার শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গী হলো বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ৯ শূন্যের সঙ্গে এই ম্যাচে শ্রীলঙ্কার ২ ব্যাটসম্যান আউট হন কোনো রান না করে। দুই দল মিলিয়ে ম্যাচে ১১ শূন্যও বিশ্বরেকর্ড। তবে এই ম্যাচ ছুঁয়েছে আরও ১২টি ম্যাচকে। এবারের আগে সবশেষ ১১ শূন্যের ম্যাচেও ছিল বাংলাদেশ, ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জ্যামাইকায়।