এফএনএস আন্তজার্তিক ডেস্ক: চলমান দ্বিপাক্ষিক উত্তেজনার আবহে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট ভারতে বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির কতৃর্পক্ষ। এর আগে একইভাবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং দেশটির সামরিক মিডিয়া শাখা আইএসপিআর—এর অ্যাকাউন্টও ভারতে ব্লক করা হয়েছিল। পরপর এসব পদক্ষেপ দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পর্কের চরম টানাপড়েনের একটি নিদর্শন বলেই বিশ্লেষকদের মত।
সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের প্রতি কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন বিলাওয়াল ভুট্টো। তিনি বলেছিলেন, “মোদি জেনে রাখুন, সিন্ধু নদ আমাদের। এই নদে হয় আমাদের পানি প্রবাহিত হবে, না হয় আপনাদের রক্ত।” তাঁর এই বিতর্কিত বক্তব্যের পরই তাঁর অ্যাকাউন্ট বন্ধ হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে নতুন করে বিতর্ক দানা বাঁধে।
পিপিপির সিনেটর শেরি রেহমান এই পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করে বলেন, “বিলাওয়ালের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার মধ্য দিয়ে বোঝা যায়, পেহেলগাম হামলার পেছনে ভারতের নিজস্ব দুর্বলতা ঢাকতে তারা চেষ্টা করছে। সত্য প্রকাশ হয়ে যাওয়ার ভয়ে তারা এভাবে মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করছে।”
উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগাম এলাকায় এক বন্দুকধারীর হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাঁদের অধিকাংশই ছিলেন পর্যটক। এই হামলার পেছনে পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে দাবি করে আসছে নয়াদিল্লি। তবে ইসলামাবাদ এসব অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একাধিকবার মুখ খুলেছেন বিলাওয়াল। তিনি বলেন, পাকিস্তান সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় এবং দেশটি নিজেই সন্ত্রাসবাদের অন্যতম প্রধান শিকার। ভারতের ‘অবৈধভাবে’ দখল করা কাশ্মীর অঞ্চলে সন্ত্রাসী হামলার দায় পাকিস্তানের ওপর চাপিয়ে দেওয়া রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। পাশাপাশি তিনি সতর্ক করে দেন, সিন্ধু নদ নিয়ে পাকিস্তানের জনগণ কোনো আগ্রাসন মেনে নেবে না।
ভারতের পদক্ষেপকে ‘গণমাধ্যম নিপীড়নের’ একটি রূপ হিসেবে দেখছেন অনেক বিশ্লেষক। তারা বলছেন, আঞ্চলিক উত্তেজনার মুহূর্তে রাজনৈতিক নেতাদের কণ্ঠ রোধ করার এ ধরনের আচরণ আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনার জন্ম দিতে পারে।