এফএনএস বিদেশ : এশিয়ান বাণিজ্যে দিনের শুরুতে জ¦ালানি তেলের মূল্য বেড়েছে। এর আগের সেশনেও মূল্য বাড়ে তিন শতাংশ। ইউএস ক্রুডের চাহিদা বাড়ায় ও ডলারের দুর্বল প্রবণতার কারণেই মূলত তেলের দাম বেড়েছে। খবর রয়টার্সের। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা ১৫ মিনিটের দিকে দেখা যায়, ব্রেন্ট ক্রুডের মূল্য ব্যারেলপ্রতি ২৫ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে ৯৫ দশমিক ৯৪ ডলারে দাঁড়িয়েছে। তাছাড়া ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডেয়েট ক্রুডের মূল্য ১৯ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে ৮৮ দশমিক ১০ ডলারে দাঁড়িয়েছে। এদিকে গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের মজুত ও রপ্তানি বেড়েছে। দেশটির সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, দৈনিক রপ্তানি বেড়েছে ৫১ লাখ ডলার, যা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। চাহিদা বাড়ার পাশাপাশি ডলারের মূল্যও কমেছে। এর আগে ডলারের শক্তিশালী অবস্থানের কারণে বিপাকে পরে আমদানিকারকরা। এখন ডলার কিছুটা দুর্বল হওয়ায় অন্যান্য মুদ্রায় তেল কেনার খরচ কমবে। তাছাড়া ইউরোপ আগামী মাসে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি নিষিদ্ধ করবে ও বৈশ্বিক শিপিং বীমা শিল্প থেকে রাশিয়ান শিপারদের সীমাবদ্ধ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর আগে দাম বাড়তে দৈনিক ২০ লাখ ব্যারেল তেল কম উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নেয় ওপেক প্লাস। এরপরই হোয়াইট হাউজ ও সৌদি রাজ পরিবারের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়। ডেমোক্রেটদের তীব্র প্রতিক্রিয়ায় মনে হয়েছে দীর্ঘদিনের সহযোগীকে তারা পরিত্যাগ করতে চায়। যুক্তরাষ্ট্রের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ উপসাগরীয় দেশগুলো।