দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা গাজার জাবালিয়া এলাকায় জাবালিয়ার নিয়ন্ত্রন গ্রহনে গতদুই সপ্তাহ যাবৎ মরনপন যুদ্ধ তথা হামলা পরিচালনা করলেও কোন অবস্থাতেই তারা হামাসের হামলা হতে নিজেদেরকে রক্ষা করতে পারছে না। কাতার ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা জানিয়েছে হামাস যোদ্ধারা অতি উচ্চ মাত্রায় এবং পরিকল্পিত ভাবে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে তাদের এই লড়াই দৃশ্যতঃ সহিংসরুপ ধারন করেছে। ইসরাইলের সেনা মুখপাত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে হিব্র“ ভাষায় প্রকাশিত ইসরাইলি দৈনিক পত্রিকা জানিয়েছে জাবালিয়া এলাকার হামাস সদস্যরা অত্যন্ত সাহসি ও কৌশলী তাদেরকে কোন অবস্থাতেই সড়ক বা স্থল ভাগে দেখা যাচ্ছে না।মুহুর্তে হামলা চালিয়ে নিমিষেই তারা জাবালিয়ার বিল্ডিং বাড়ীর আশপাশ দিয়ে উড়ে চলে যাচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিডিয়াগুলোতে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে জাবিলায় হামাস যোদ্ধারা ফাইটিং কম্পাউন্ড ব্যবহার করে তীব্র লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে হামাস। আর উক্ত লড়াইয়ে ইসরাইলি সেনারা নাস্তানাবুদ হচ্ছে। তারা নিহত ও হতাহতের শিকার হচ্ছে। প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে হামাস যোদ্ধারা উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়া উদ্বাস্ত শিবিরে ফাইটিং কম্পাউন্ড প্রতিষ্ঠা করেছে। এরফলে তারা ইসরাইলি সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বিভিন্ন ভবনের মধ্য দিয়ে অতি দ্রুততার সাথে এবং নিরাপদে চলাচল করতে পারছে। যে কারনে হামাস যোদ্ধাদেরকে রাস্তায় অবস্থান নিয়ে যুদ্ধ করতে হচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক প্রতিরক্ষা মিন্ক ট্রাঙ্ক জানিয়েছে, জাবালিয়া দখল করার জন্য দুই সপ্তাহ চলা যুদ্ধেদেখা যাচ্ছে যে হামাস যেখানে পরিকল্পিত প্রতিরোধ রচনা করেছে এবং ইসরাইল বাহিনীর উপর তাদের পরিকল্পিত প্রতিরোধ ইসরাইলি বাহিনীকে দুর্বল হতে দুর্বল তর করছে এবং হামাসের পরিপূর্ণ যুদ্ধ কৌশল, শক্তি ক্ষমতা ও সামর্থ বিদ্যমান। হামাস তার সামরিক শাখাকে প্রচলিত সামরিক বাহিনীর ন্যায় সক্ষমতায় নিয়েছে এবং ব্যাপক ভিত্তিক সামরিক কমান্ডার সৃষ্টি করেছে। গত সপ্তাহে ইসরাইলি সেনা বিহীন ঘোষনা দেয় যে হামাসের জাবালিয়া কমান্ডার কে হত্যা করা হয়েছে কিন্তু হামাসের বর্তমান লড়াই প্রমান করে যে জাবালিয়া তাদের শক্তি ও সামর্থের সামান্যতম ঘাটতি নেই। এদিক ইসরাইলকে অবিলম্বে রাফা অভিযান ও রাফায় হামলা বন্ধের নিদেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক (বিশ্ব) আদালত। কিন্তু দখলদার ইসরাইলি বাহিনী এতটুকু বেহিসেবি এবং তাদের দৌরত্ব এমনই অনভিপ্রেত যে তারা আন্তর্জাতিক আদালতের নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে রাফায় হামলা পরিচালনা করছে। আন্তর্জাতিক আদালতের রায় এবং নির্দেশনা মানতে বাধ্য বিশ্বের প্রতিটি দেশ কিন্তু দখলদার ইসরাইল এতটুকু অপ্রতিরোধ্য এবং অমানবিক যে আন্তর্জাতিক আদালতের নির্দেশ ও তারা মানছে না। আন্তর্জাতিক আদালতের নির্দেশ জারি হওয়ার পর যেখানে ফিলিস্তিনিদের উপর তাৎক্ষনিক হামলা বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার কথা সেখানে হামলার তীব্রতা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। জাতিসংঘের মহাসচিব ইসরাইলকে সংযত হওয়ার হুশিয়ারী উচ্চারন করে বলেছে অবিলম্বে ইসরাইল আন্তর্জাতিক আদালতের নিদেশনা মেনে চলবেন আর যদি তার বত্যয় ঘটে তাহলে আইন অমান্যকারী হিসেবে চিহিৃত হবে ইসরাইল। এদিকে ইসরাইল বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেওয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীদের একটি অংশকে ছেড়ে দিতয়েছ মার্কিন পুলিশ তবে বিক্ষোভ চলমান আছে। কাতার ভিত্তিক আলজাজিরা টেলিভিশন চ্যানেল খবর দিয়েছে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা লেবানন হতে অন্তত বিশটি রকেট হামরা চালিয়েছে ইসরাইলে। গাজার হামাস নিয়ন্ত্রীত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, ছত্রিশ হাজারের অধিক ফিলিীস্তনি নিহত হওয়ার পাশাপাশি তের হাজার ফিলিস্তিনি এখনও নিখোজ অবস্থায় আছে। নিখোজদেরকে অপহরন, গণকবর অথবা ধ্বংস স্তুপে মৃত্যুবরন করেছে। তুরস্ক এবার ঘোষনা দিলো যে তারা হামাস যোদ্ধাদেরকে সহযোগিতা করবে। মার্কিন ত্রান গাজার মাটিতে পৌছানোর পর এবার সেগুলো পরিবহন ব্যবস্থায় বিতরনের চেষ্টা করা হচ্ছে।