সোহরাব হোসেন শ্যামনগর থেকে ॥ বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী মূলত অক্টোবর থেকে ফেব্র“য়ারি পর্যন্ত শীত মৌসুমে সুন্দরবনে পর্যটক আসে। সেই সময়ে সুন্দরবনের নদীতে এবং খাল গুলো যথেষ্ট ঠান্ডা থাকে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকে। গত ৫ অর্থ বছরে সুন্দরবনে বেড়েছে দেশি-বিদেশি পর্যটক। ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে সুন্দরবনে দেশি-বিদেশি পর্যটক এসেছিল ১লাখ ৮৯হাজার ৫৭৩ জন।যার মধ্যে দেশি পর্যটক ছিল ১লাখ ৮৭ হাজার ৩০৯ জন। এবং বিদেশি পর্যটক ছিল ২ হাজার ২৬১জন। এতে রাজস্ব আয় হয় এক কোটি ৫১ লাখ ৭৪ হাজার ৩৯০ টাকা। ২০১৯-২০২০ সুন্দরবনে এসেছে ১লাখ ৭২ হাজার ৯৭৯ জন পর্যটক। যারমধ্যে দেশি পর্যটক ছিল ১ লাখ ৭০ হাজার ৬৩ এবং বিদেশি পর্যটক ছিল ২ হাজার ৩১৭ জন।এবং রাজস্ব আয় হয় এক কোটি ৮৭ লাখ ৬৫ হাজার ৮টাকা। ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে সুন্দরবনের পর্যটক এসেছে ১লাখ ৪৬ হাজার ২১১ পর্যটক। যার মধ্যে দেশি পর্যটক ছিল ১ লাখ ৪৫ হাজার ৮৯১ জন।এবংএতে আয় হয় ১ কোটি বিদেশি পর্যটক ৩২০ জন। এতে আয় হয় এক কোটি ৫৭ লাখ ৫৪ হাজার ১৬৬ টাকা। ২০২১-২০২২ অর্থবছরের সুন্দরবন এসেছে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৪৭৭ জন পর্যটক। যার মধ্যে দেশি পর্যটক ছিল ১৫৪ হাজার ৩৭৪ এবং বিদেশি পর্যটক ছিল ১ হাজার ১৩৩ জন।এতে রাজস্ব আয় হয় ২ কোটি ২৪ লাখ ৮৩ হাজার ৫৮০ টাকা। এছাড়া সর্বশেষ ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে সুন্দরবনে এসেছে ২ লাখ ১৬ হাজার ১৪৩ পর্যটক। যার মধ্যে দেশি পর্যটক ছিল ২ লাখ ১৪ হাজার এবং বিদেশি পর্যটক ছিল ২ হাজার ১৪৩ জন। এতে রাজস্ব আয় হয় ৩ কোটি ৯৪ লাখ ৩২ হাজার ৪৮০ টাকা। ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব সুন্দরবন সেক্রেটারি এম এ নাজমুল আজম ডেভিড বলেন সুন্দরবনের সৌন্দর্য টানে প্রতি বছর পর্যটক বাড়ছে। পদ্মা সেতু হওয়ার পর সুন্দরবনের যাতায়াতের পথ সুগম হয়েছে। সবচেয়ে গাড়ি দিয়ে সুন্দরবন উপভোগ করা যায় সাতক্ষীরা সড়ক পথের সুন্দরবন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুন্সিগঞ্জ পর্যন্ত ট্রেন লাইনটা বাস্তবায়ন করে তাহলে আরোও পর্যটক বাড়বে। রাজস্ব আয় ও বাড়বে। খুলনা বন অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দে জানান সুন্দরবন একমাত্র বিশ্ব ঐতিহ্য এলাকা।