আলমগীর হোসেন, বিষ্ণুপুর থেকেঃ কালিগঞ্জের বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে ইরি বোরো ধানে বাম্পার ফলন হয়েছে। ক্ষেতে খামারে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের ধুম পড়েছে। গোলায় তোলার কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষক – কৃষাণীরা। গতকাল সরেজমিনে দেখাগেছে, বিষ্ণুপুর এলাকার চাঁচাই, পারুলগাছা, হোগলা, শ্রীধরকাটি, বেজুয়া ফরিদপুর, মুকুন্দপুরসহ বিভিন্ন এলাকার বিলে কদিন আগেই ছিল সবুজে সমাহার, এখন সেই সবুজে লেগেছে সোনালী রং মাঠের দিকে তাকাতেই খুশির উজ্জল সোনালী হাসিতে ভরে উঠেছে কৃষক ও কৃষাণীর মন। এদিকে গত দুই দিন ধরে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় অধিকাংশ বোরো ধান খেতে পাটিয়ে পড়েছে। দুশ্চিন্তায় পড়েছে কৃষক আবার অনেক বোরো ধান কাটার পর বর্ষায় পানিতে ডুবে আছে। তারপরেও সবকিছুর মালিক আলাহর উপর ভরসা করে মনের দূড় আশা নিয়ে ধান ঘরে তোলার জন্য ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। পুরোদমে বোরো ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ শুরু হয়েছে, এ কাজে মোটামুটি শিশু থেকে শুরু করে পরিবারের সকলেই সহযোগিতা করছেন। গত সপ্তাহে বোরো ধান কাটার আগে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং সঠিক পরিচর্যায় আমন ধানের আবাদ খুব ভালো ছিল গতকাল থেকে আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় দুঃচিন্তায় চাষীকূল। হোগলা গ্রামের কৃষক আজিজুর রহমান বলেন এবার ৩ বিঘা জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছেন তিনি, তবে ঘরে তুলতে পারলেই তার কষ্টটা নিবারণ হবে সেই চেষ্টাই করছেন। বেজুয়া গ্রামের আবু মূসা বলেন এবার অন্য বছরের তুলনায় ফলন অনেক বেশি হয়েছে, তবে বৃষ্টির কারণে কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মাহাফুজুর রহমান বলেন, এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বিষ্ণুপুর ৫ শত ৬০ হেক্টর জমিতে বেশিরভাগ উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিভিন্ন বীজ নিয়ে বোরো মৌসুমে ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। এ এলাকায় বিঘা প্রতি ১৮ থেকে ২০ মণ ধানের ফলন হবে বলে আশা করছেন। চলমান বৈরী আবহাওয়ার কারণে কৃষকরা চিন্তিত, তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বেশিরভাগ কৃষক ফসল ঘরে তুলতে পারবেন।