মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
ষড়যন্ত্রকারী, চক্রান্তকারীরা থেমে নেই, সক্রীয় ব্যর্থ হবে না বাংলাদেশ, ব্যর্থ হবে না অন্তবর্তীকালীন সরকার দেবহাটায় চিংড়ীতে পুশ বিরোধী অভিযান চল্লিশ হাজার টাকা জরিমানা \ জনমনে স্বস্তি তালায় দুই লাখ টাকার আট দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব যুবসমাজকে মাদকমুক্ত রাখতে খেলাধুলার বিকল্প নেই নূরনগরে বিএনপি’র মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টিউশন ফি নীতিমালা শীর্ষক আলোচনা সভা বাংলাদেশ অ—১৫ জাতীয় ফুটবল লীগ—২০২৫ (বালক) এ অংশগ্রহনে সাতক্ষীরা জেলা দল গঠনের জন্য প্রাথমিক বাছাই নলতায় আলোর দিশা ফাউন্ডেশনে প্রশিক্ষণ কর্মশালা আশাশুনির ৩৭ গীর্জায় চাউল প্রদান কয়রায় পানির ট্যাংকির ভিট নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম অফিসের কর্মচারি জড়িত থাকার অভিযোগ সাগরদাঁড়ি সপ্তাহব্যাপী মধুমেলার মাঠ ৩৮ লাখ টাকায় বিক্রি

বিষ্ণুপুরে খেজুরর রস সংগ্রহে ব্যস্ত গাছিরা

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় বুধবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২২

আলমগীর হোসেন, বিষ্ণুপুর থেকেঃ কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর শরৎকে বিদায় দিয়ে হেমন্তকে বরণ করেছে প্রকৃতি। বৈচিত্রপূর্ণ ছয়টি ঋতুর দেশ আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। এক একটি ঋতুর রয়েছে এক একটি বৈশিষ্ট্য। ঋতু বৈচিত্রে এখন রাতের শেষে কুয়াশা জানান দিচ্ছে শীতের আগমন বার্তা। আবহমান গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য খেজুর রস সংগ্রহে উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়িনের বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে খেজুর রস সংগ্রহের জন্য গাছিরা খেজুর গাছ কাটার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। পুবালি বাতাসে অপরুপ সৌন্দর্যে সকলের মন মাতিয়ে তুলছে মিষ্টি খেজুর রসের ঘ্রাণ। কাক ডাকা ভোরে রস সংগ্রহ ও সন্ধ্যায় চলছে গাছ পরিচর্যার কার্যক্রম। এবার কিছুটা আগেই গ্রামে গ্রামে সকালের শিশিরের সাথে অনুভূত হচ্ছে মৃদু শীত। আর মাত্র কয়েক দিন পর রস সংগ্রহ করে রস থেকে লালি ও গুড় তৈরির পর্ব শুরু হয়ে চলবে প্রায় মাঘ মাস পর্যন্ত। খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহের প্রস্তুতি প্রতিটি গ্রামে চোখে পড়ছে। খেজুর রস ও গুড়ের এক সময় খ্যাতি ছিল। সময়ের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রাম বাংলার প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী খেজুরের গুড়। কিছুদিন আগেও বিভিন্ন এলাকার অধিকাংশ বাড়িতে, ক্ষেতের আইলে, ঝোপ-ঝাড়ের পাশে ও রাস্তার দুই ধার দিয়ে ছিল অসংখ্য খেজুর গাছ। কোন পরিচর্যা ছাড়াই অনেকটা প্রাকৃৃতিক ভাবে বেড়ে উঠতো এসব খেজুর গাছ। প্রতিটি পরিবারের চাহিদা পূরণ করে অতিরিক্ত রস দিয়ে তৈরি করা হতো সুস্বাদু খেজুরের গুড়। ইট ভাটার রাহু গ্রাসে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার বেশি হওয়ার কারণে যে পরিমাণ গাছ চোখে পড়ে তা নির্বিচারে নিধন করায় দিনদিন খেজুর গাছ কমছেই। এক সময় সন্ধ্যাকালীন সময়ে গ্রামীন পরিবেশটা খেজুর রসে মধুর হয়ে উঠতো। রস জ্বালিয়ে পাতলা ঝোলা, দানা গুড় ও পাটালী তৈরি করতেন। যার সাধ ও ঘ্রাণ ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। এখন অবশ্যই সে কথা নতুন প্রজন্মের কাছে রূপকথা মনে হলেও বাস্তব। যত বেশি শীত পড়বে তত বেশি মিষ্টি রস দেবে খেজুর গাছ। শীতের পুরো মৌসুমে চলে রস, গুড়, পিঠা, পুলি ও পায়েস খাওয়ার পালা। এ ছাড়া খেজুরের পাতা দিয়ে আর্কষনীয় ও মজবুত পাটি তৈরী হয়। এমনকি জ্বালানি কাজেও ব্যাপক ব্যবহার। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তন, কালের বির্বতনসহ বন বিভাগের নজরদারী না থাকায় বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেজুর গাছ এখন বিলুপ্তির পথে। তবে যে ভাবে খেজুর গাছ কাটা হচ্ছে অল্প দিনের মধ্যেই এই দেশে আর খেজুর গুড় থাকবে না মনে করেন গাছিরা। বর্তমান বাজারে আখের গুড় চিনি যে মূল্যে বেচাকেনা হচ্ছে তার চেয়ে মানসম্পন্ন খেজুরের গুড়ের দাম এবছর কিছুটা বেশি হবে এমনটাই আসা করছেন গাছিরা। শীত একটু বেশি পড়তে শুরু করলে আত্মীয়-স্বজন আনা নেয়া ও পিঠা-পুলির উৎসবে খেজুর গুড়ের দাম ও চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় সে সময় আমাদের লাভ একটু বেশি হয়। যে পরিমাণে শ্রম দিতে হয় সে পরিমাণে আমরা লাভ করতে পারি না। তবুও পেশাগত কারণে চালিয়ে যাচ্ছি এই ব্যবসা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com