আশাশুনি প্রতিনিধি \ আশাশুনির বুধহাটায় চা-দোকানীকে পিটিয়ে জখম ও নগদ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বুধহাটা বাজারের গাজী মার্কেটে এ ঘটনা ঘটে। আহত উজ্জল ঘোষ বুধহাটা গ্রামের পোলাদ ঘোষের ছেলে। উজ্জল ঘোষের সাথে কথা বলে এবং এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উজ্জল ঘোষের চায়ের দোকানের পিছনের দিকের ভাঙা অংশে চটের বস্তা দিয়ে আলো বাতাস প্রবেশের পথ বন্ধ করাকে কেন্দ্র করে পাশ্ববর্তী চা-দোকানীর সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে পাশ্ববর্তী দোকানী আবুল কালামের সাথে ধাক্কাধাক্কি হয়। উজ্জল ঘোষ তাৎক্ষনিক বিষয়টি বুধহাটা বাজার বণিক সমিতির অফিসে মৌখিকভাবে জানায়। এর কিছুক্ষণ পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে আবুল কালামসহ বুধহাটা গ্রামের ইমন হোসেন, আতিকুল ইসলাম, জাহিদ হোসেন, আব্দুল মান্নান (নুনু) ও উপজেলার তুয়াড়ডাঙ্গা গ্রামের বিলাল হোসেন সংগবদ্ধ হয়ে উজ্জল ঘোষের দোকানে প্রবেশ করে তার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। দ্বিতীয় দফা হামলায় উজ্জল ঘোষ মারাত্বক ভাবে জখম হয়। এসময় হামলাকারীরা দোকানের নগদ টাকা লুটসহ চায়ের দোকানে ব্যবহৃত জিনিসপত্র ভেঙে ক্ষতি সাধন করে বলে জানিয়েছে উজ্জল ঘোষ। আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, মারধরের ঘটনাটি আমি লোকমুখে শুনেছি এবং বৃহস্পতিবার বিকেলে এ সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক অপরাধী যেই হোক তাকে বা তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। এদিকে জমিজমা সংক্রান্ত বা অন্য যে কোন সহজে সমাধান যোগ্য বিষয়ে হিন্দু-মুসলিম সংঘাতে জড়িয়ে পড়লে নির্দিষ্ট সম্প্রদায়, সংখ্যালঘু বা এ জাতীয় কোন স্পর্শ কাতর শব্দের ব্যবহার করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঘাটতি না করার জন্য আহ্বান করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।