বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। এদেশের উর্বর মাটিতে বহুবিধ খাদ্য শস্য সহ কৃষি পণ্য উৎপাদন হয়। আমাদের দেশের বাস্তবতায় কৃষির কল্যানে দেশের খাদ্য ঘাটতি পুরন হয় এবং যথাযথ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে। সাতক্ষীরা দেশের অন্যতম সম্ভাবনাময় জেলা হিসেবে নিজের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে। সাতক্ষীরা দৃশ্যতঃ শস্য ভান্ডার হিসেবে পরিচিত। এই জেলার মাটিতে সব ধরনের কৃষি পণ্য উৎপাদন হয়। ধান উৎপাদনে সাতক্ষীরা বরাবরই শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী এই জেলার বিশলক্ষাধীক জন সাধারন জেলায় উৎপাদিত ধানের উপর নির্ভরশীল আর এই ধানের চাল জেলাবাসির জীবন জীবিকার উৎস্য হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। সাতক্ষীরার মাটি এতটুকু উর্বর এবং শস্য উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন যে ধান, পাট, রবিশস্য সহ নানা ধরনের সবজি উৎপাদনের উর্বর মহাক্ষেত্র এই জেলা। সাতক্ষীরা কৃষিতে এগিয়ে আর এই কৃষি উৎপাদনের অন্যতম নিয়ামক শক্তি হিসেবে কার্যকর ভূমিকা পালন করে বৃষ্টির পানি। সাতক্ষীরার কৃষকরা বর্তমান আমন ধান রোপন মৌসুমে অত্যন্ত কষ্টকর এবং দুশ্চিন্তাময় সময় অতিক্রম করছে বৃষ্টিপাতহীনতার কারনে আর এ কারনে চাষাবাদে ব্যাপক ভিত্তিক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। কোন কোন এলাকার কৃষকরা সেচযন্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে ভূ-গর্ভ হতে পানি উত্তোলন করে চলেছেন তবে এখানেও সমস্যার শেষ নেই সেচযন্ত্রের সহায়তায় পানি উত্তোলন পরবর্তি চাষাবাদ করলে চাষাবাদ খরচ বেশী পড়ে। সমস্যা আরও বিদ্যমান বিদ্যুৎহীনতা এবং পরিবেশের ভারসাম্যহীনতা, আষাঢ়, শ্রাবন মাস শেষে শ্রাবন মাসের মধ্যবর্তী সময় গুলোতেও কাঙ্খিত বৃষ্টিপাত না থাকায় আমন মৌসুম এ চরম অসহায়ত্ববোধ করছেন কৃষকরা। বর্তমান অবস্থা চলতে থাকলে এবারে সাতক্ষীরায় আমন ধানের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না। সাতক্ষীরা হতে প্রকাশিত এবং বহুল প্রচারিত দৈনিক দৃষ্টিপাত পত্রিকা কাঙ্খিত বৃষ্টিপাতের অনুপস্থিতিতে, সাতক্ষীরায় আমন চাষ অনিশ্চয়তা বিষয়ক জনগুরুত্বপর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশ করে, প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে বৃষ্টিপাতের অভাবে সাতক্ষীরার আমন চাষ বাঁধাগ্রস্থ হওয়ায় জেলা খাদ্য ঘাটতির মুখে পড়বে।