এফএনএস: দুদিন ধরে চলা ঝড়-বৃষ্টির প্রবণতা গতকাল বুধবার থেকে কমে গিয়ে তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর আগে সারাদেশেই বৃষ্টির প্রবণতা বেড়েছিল। গত মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে গতকাল বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সব বিভাগে বৃষ্টি হয়েছে। এ সময়ে সবচেয়ে সারাদেশে ৪৩টি বৃষ্টি পরিমাপক কেন্দ্রের মধ্যে ৩৮টিতে বৃষ্টি হয়ে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৬৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে দিনাজপুরে। ঢাকায় ৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। রাজশাহী, পাবনা, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, খুলনা, যশোর এবং কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে গেলেও গত মঙ্গলবার তা দূর হয়েছে। তাপমাত্র কিছুটা কমে গেছে। আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম জানান, গতকাল বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছুকিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছেন এ আবহাওয়াবিদ। তিনি বলেন, আগামী তিনদিনের মধ্যে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে। গত মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল সিলেটে। গতকাল বুধবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রাঙ্গামাটিতে, ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়Ñ পশ্চিম মধ্যপ্রদেশ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত স্থল নিম্নচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়ে বর্তমানে রাজস্থান ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য পূর্বাভাসে বলা হয়েছেÑ রাজশাহী ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল­া, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।