এফএনএস ক্রীড়া প্রতিবেদক: তাঁর নাম গ্লেন ফিলিপসÑনিউজিল্যান্ডের ক্রিকেট দুনিয়ার এক অলরাউন্ড প্রতিভা। ঝড়ো ব্যাটিং, কার্যকর বোলিং আর বাজপাখির মতো চমকপ্রদ ক্যাচÑক্রিকেটের প্রতিটি দিকেই সমান দক্ষতা রাখেন তিনি। অথচ এমন একজন খেলোয়াড়ই আইপিএলের মতো আসরে টানা দুই মৌসুম কাটালেন শুধু বেঞ্চ গরম করেই। আর এবার তো মাঠে নামার আগেই ইনজুরিতে পড়ে ছিটকে গেলেন পুরো টুর্নামেন্ট থেকে।
২০২৩ সালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে একাদশে জায়গা না পেলেও, ২০২৪ সালে গুজরাট টাইটান্স তাঁকে ২ কোটি রুপিতে দলে ভিড়িয়ে আশার আভাস দিয়েছিল। কিন্তু পাঁচটি ম্যাচ খেলে ফেলার পরও একাদশে জায়গা হয়নি ফিলিপসের। শেষ পর্যন্ত একমাত্রবারের মতো তিনি মাঠে নামেন ৬ এপ্রিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে বদলি ফিল্ডার হিসেবে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেই ম্যাচেই কুঁচকিতে চোট পেয়ে তাঁকে খোঁড়াতে খোঁড়াতে মাঠ ছাড়তে হয়। পরে নিশ্চিত হয়, এই চোটের কারণে পুরো আইপিএল থেকেই ছিটকে গেছেন তিনি।
‘বাজপাখি’ নামে খ্যাত ফিলিপস ক্রিকেট বিশে^ পরিচিত তাঁর অবিশ^াস্য ফিল্ডিং দক্ষতার জন্য। ক্যারিয়ারজুড়ে অসাধারণ সব ক্যাচ ধরা ছাড়াও উইকেটকিপিং, মিডিয়াম পেস, এবং মিডল অর্ডারে মারকুটে ব্যাটিংয়ে তিনি দলগুলোর কাছে ‘সব কাজের কাজি’। আন্তর্জাতিক টি—টোয়েন্টিতে তাঁর স্ট্রাইক রেট ১৪০—এর ওপরে, যা বলছেÑব্যাটিংয়েও তিনি ভয়ংকর কার্যকর।
আইপিএলে গ্লেন ফিলিপসের মতো খেলোয়াড়ের সুযোগ না পাওয়া নিঃসন্দেহে প্রশ্ন তোলে টিম ম্যানেজমেন্টের কৌশল নিয়ে। যদিও এবার তাঁর জায়গা দখল করেছেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটার শেরফান রাদারফোর্ড, যিনি পাঁচ ম্যাচে ১৭৮.৯৪ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ১৩৬ রান। গুজরাটের সফলতায় রাদারফোর্ডের ভূমিকা থাকলেও, ফিলিপসের মতো বহুমুখী খেলোয়াড়কে পুরোপুরি বসিয়ে রাখা অনেকের চোখেই ক্রিকেটীয় ‘নির্মমতা’।
ফিলিপসের ইনজুরি গুজরাট শিবিরে বিদেশি ক্রিকেটারদের সংকট বাড়িয়ে দিয়েছে। এর আগেই ব্যক্তিগত কারণে দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার কাগিসো রাবাদা দেশে ফিরে যান। ফলে গুজরাটের দলে এখন মাত্র পাঁচ বিদেশি: জস বাটলার, শেরফান রাদারফোর্ড, রশিদ খান, জেরাল্ড কোয়েৎজি ও করিম জানাত।