এফএনএস স্বাস্থ্য: বাজারে এখন পাকা আম উঠতে শুরু করেছে। ফলের রাজা আম সবারই প্রিয়। আর এ কারণে আমের মৌসুম এলে সবাই ইচ্ছেমতো আম খান। যদিও আম স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ উপদান আছে। তবে কারও কারও জন্য আম হতে পারে বিপজ্জনক। কারণ এই ফলেরও আছে পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া। বেশি পরিমাণে আম খেলে শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। এ বিষয়ে সিটি ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্কের হার্বার্ট এইচ. লেহম্যান কলেজের প্রভাষক ও নিবন্ধিত ডায়েটেশিয়ান দিনা আর. ডি’অ্যালেসান্দ্রো (এমএস, আরডিএন, সিডিনি) জানান, আমে থাকে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট। যা শরীরের জন্য অনেক উপকারী। তবে আম সবার শরীরের জন্য উপকারী নয় বলে জানান ডায়েটেশিয়ান দিনা। তিনি জানান, কারও যদি ল্যাটেক্সে অ্যালার্জি থাকে তাহলে অবশ্যই আম খাওয়ার সময় সতর্ক থাকুন। আমের প্রোটিন ল্যাটেক্সের মতোই, তাই অ্যালার্জির সমস্যা বাড়তে পারে। এই পুষ্টিবিদ আরও জানান, আম রক্তে শর্করার পরিমাণও বাড়িয়ে তুলতে পারে। কারণ এই ফল প্রাকৃতিকভাবেই অনেক মিষ্টি ও কার্বোহাইড্রেটযুক্ত। আম খেলে মুহূর্তেই বেড়ে যেতে পারে ডায়াবেটিস। তাই আম খাওয়ার আগে অবশ্যই পরিমাপ করে দেখুন আপনার রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে আছে কি না। এমনকি আমের অতিরিক্ত ব্যবহার জিআই সমস্যাও সৃষ্টি করে। কারণ এতে গাঁজনযোগ্য কার্বোহাইড্রেট বেশি থাকে। তাই আপনি যদি ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (আইবিএস) এর মতো গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যায় ভোগেন তাহলে আম মেপে খান কিংবা এড়িয়ে যান। আবার আপনি যদি অতিরিক্ত ওজনে ভোগেন কিংবা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তাহলেও আম খাওয়া সীমিত করুন। এক কাপ আমে প্রায় ৭০ ক্যালোরি থাকে। তাই বেশি আম খেলে আবার ওজন বাড়তে পারে। চাইলে সকালের নাস্তায় সামান্য আম রাখতে পারেন। বেশিরভাগ মানুষই আম খোসা ছাড়িয়ে খান। তবে জানলে অবাক হবেন যে, আমের খোসাতেই থাকে বেশি ফাইবার। তাই খোসা ছাড়িয়ে আম খেলে তা শরীরে বেশি পুষ্টি যোগায় না। তাই খোসাসহ আম খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে লাভবান হবেন আপনিই। সূত্র: ইট দিস, নট দ্যাট