বুড়িগোয়ালিনী (শ্যামনগর) প্রতিনিধি \ বেড়িবাঁধ সংস্কারের নামে সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে সাবাড় করে দিচ্ছে শ্যামনগর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব কালিনগরে, ঠিকাদার আবু সাইদ ও পাউবো সহকারী প্রকৌশলী জাকারিয়া ফেরদৌস এর তত্ত্বাবধানে। ওয়ার্ক অর্ডার অনুযায়ী ঝুড়ি কোদালে মাটি কাটার কথা থাকলেও অধিক লাভের আশায় স্কেভেটর ব্যবহার করে গাছ নিধন করছেন ঠিকাদার ও পাউবো সহকারি প্রকৌশলী জাকারিয়া ফেরদৌস। কোন নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে হাজার হাজার গাছ ধ্বংস করে স্কেভেটরের মাধ্যমে রাস্তা সংস্কারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্কেভেটর মেশিন চালানোর ফলে নির্বিচারে সামাজিক বনায়নের হাজার হাজার গাছ কেটে সাবাড় করে দিয়েছে এবং রাস্তার গোড়ার ১০ ফুট দূর থেকে মাটি কাঁটার কথা থাকলেও ৪/৫ ফুট দূর থেকে এবং কোথাও আবার ২ ফুট, কোথাও মোটেই নেই এমন ভাবে মাটি কেটছেন। যা দেখে স্থানীয় বাসিন্দা দেবাশীষ বিশ্বাস বলেন, এমন রাস্তা নির্মাণ আমার বাবার জন্মে দেখিনি, কোথাও সোলোভে মাটি নেই, আবার রাস্তার উপরে কোথাও খাল, কোথাও ডোবা, দেখে রাস্তা মনে হচ্ছেনা। স্থানীয় বয়োবৃদ্ধ সুভাষ মন্ডল(৭০) বলেন, আমরা ছোট বেলায় দেখেছি বাঁধ সংস্কার করতে ঝুড়ি কোদাল দিয়ে মাটি কাটতে এতে গাছের কোন ক্ষতি হতো না, গাছ কাটা দেখে আমাদের খুব খারাপ লাগছে, গাছ গুলো খুব কষ্ট করে লাগানো। এ দিকে কাজ শুরু করার আগে ঠিকাদার আবু সাঈদ গাজী ও পাউবো সহকারী প্রকৌশলী জাকারিয়া ফেরদৌস দৈনিক দৃষ্টিপাতকে বলেন, কাজের সাইটে সাইনবোর্ড এবং কাজের সিডিউল দিয়ে দেবো। কিন্তু সাইনবোর্ড ও কাজের সিডিউল না দিয়ে দায়সারা কাজ করে গেছেন তারা। এই বিষয়ে মুটোফোনে পাউবো সহকারী প্রকৌশলী জাকারিয়া ফেরদৌস এর সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও ফোন রিসিভ করেনি। পূর্ব কালিনগরের বানভাসি মানুষের প্রাণের দাবি, বেড়িবাঁধ নির্মাণের সরকারি অর্থ সঠিকভাবে কাজে লাগাচ্ছেনা, প্রভাবশালী ঠিকাদার ও পাউবো কর্মকর্তাবৃন্দ। ভেঁড়িবাধ নির্মাণ বিষয়ে স্থানীয় ভুক্তভোগীরা সরকারের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।