দিঘলিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি ॥ খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায় সাম্প্রতিক সময়ে হঠাৎ করেই বেড়েছে চোরের উপদ্রব। চলতি সপ্তাহের প্রথমদিকে উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের বাড়িতে দুর্র্ধষ চুরির ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ আটক হয়নি বলে জানা গেছে। উদ্ধার হয়নি চুরি হওয়া মালামাল ও। দুর্র্ধষ চুরির ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলা হয়েছে। পুলিশ বলছে মালামাল উদ্ধার এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে জোর তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ শিরীন ময়নার জানান শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) প্রতিদিনের ন্যায় দিবাগত রাত ২টায় তিনি সহ তার পরিবারের সবাই ঘুমাতে যায়। ভোর ৫ টায় তার ছেলে নিজ ঘরে থাকা আলমারির সব ড্রয়ার খোলা দেখতে পেয়ে ভয়ে আতঁকে উঠে। পরবর্তীতে সে ঘটনাটি তার অভিভাবককে জানালে মমতাজ এবং তার স্বামী বাইরে যেয়ে মেইন গেটের কলাপসিবলের তালাভাঙ্গা পায়। ধারণা করা হচ্ছে রাত আনুমানিক তিনটার দিকে সংঘবদ্ধ চোরের দল গেটের তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে এবং তার ছেলের ঘরে থাকা আলমারির সংগে লাগানো চাবি দিয়ে ড্রয়ার খুলে ড্রয়ারের ভীতর থাকা যাবতীয় স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও অন্যান্য মালামাল চুরি করে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে তার স্বামী শেখ আল মামুন বাদী হয়ে দিঘলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। তবে তাদের অভিযোগ, পুলিশ এ পর্যন্ত চোরাইকৃত মালামাল উদ্ধার কিংবা চুরির সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এ ব্যাপারে দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ রিপন কুমার সরকার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের বাড়িতে চুরির ঘটনার পর থেকে চোর শনাক্ত এবং চোরাইকৃত মালামাল উদ্ধারে তৎপরতা বৃদ্ধি করেছেন বলে আশ্বস্ত করেন। উল্লেখ্য, বিগত কয়েক মাস ধরে দিঘলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভৈরব নদীর কূল ঘেঁসে বয়ে যাওয়া দিঘলিয়া গ্রামের কোন না কোন বাড়িতে ধারাবাহিকভাবে চুরির ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে। এ ব্যাপারে গ্রামবাসী চোরের উপদ্রব বন্ধে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।