বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২৩ পূর্বাহ্ন

বে-সরকারী কলেজে নন এমপিও অনার্স মাস্টার্স শিক্ষকদের \ মানবতার জীবন যাপন \ দিশেহারা পরিবার নিয়ে

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২২

বাঁশদহা (সাতক্ষীরা সদর) প্রতিনিধি \ বাংলাদেশ বে-সরকারী কলেজে নন এমপিও অনার্স মাস্টার্স শিক্ষকরা বেতন ছাড়া অত্যন্ত মানবতার জীবন যাপন করছেন। পরিবার নিয়ে দিশেহারা এসব শিক্ষককেরা।সরকারী সকল সুযোগ সুবিধা সহ সরকারী বেতন পেতে সরকারের কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছেন এসব অসহায় শিক্ষকেরা। দেশের উচ্চ শিক্ষা প্রসারের ক্ষেত্রে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন এ সব বেতন হীন শিক্ষকরা। কাজ করবে অথচ পারিশ্রমিক পাবে না এটা মানতে যেন কষ্ট হচ্ছে সকলেরই।। এ ছাড়াও বাড়িতে আছেন বৃদ্ধ মা বাবা ,আছে ভাই বোন আতœীয় স্বজন। ্ঔষুধ থেকে শুরু করে আছে পোষাক পরিচ্ছেদ।শুধু মাত্র নীতি মালার দোহায় দিয়ে দীর্ঘ ২৯ বছর বেতন বিহীন শিক্ষক জীবন। পৃথিবীর আর কোন দেশে এমন নিয়ম নীতি আছে কিনা কারোর জানা নাই।শুনেছি যৎসামান্য অর্থ দেওয়া হয় কলেজ ফান্ড হতে তাও আবার প্রতি মাসে না ্কয়েক মাস পর পর। লেখাপড়া শেষ করে সরকারের যথাযথ বিধি নিয়ম মেনে চাকরিতে প্রবেশ।তার পরও বেতন ছাড়া চাকরি ,এটা আবার কেমন চাকরি। বাংলাদেশ বে-সরকারী কলেজ নন এমপিও অনার্স মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক প্রভাষক মিহির কুমার মন্ডল ও সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সভাপতি প্রভাষক গৌতম কুমার জানান সাতক্ষীরা জেলায় ১৭ টি বে-সরকারী কলেজে ১৮০ জন শিক্ষক সহ সারা দেশে৪০৬ টি বে-সরকারি কলেজে ৫৫০০ এর মত শিক্ষক অনার্স মাস্টার্স কোর্সে বর্তমান পাঠদানরত শিক্ষক আছেন যারা বেতন ছাড়া অত্যন্ত মানবতার জীবন যাপন করছেন। বর্তমান সরকার সদিচ্ছা পোষন করলে কেটে যাবে এসব পরিবার নিয়ে আর্তনাদকারী নন এমপিও ভুক্ত শিক্ষকদের জীবন মান। মানবিক দিক বিবেচনা করে হলেও বেতনের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন বলে মনে করেন এ সব ভুক্ত ভোগি শিক্ষক সমাজ।সততা ,আদর্শ ,মুল্যবোধ কথা গুলোয় আজ পেট ভরেনা।ননএমপিও শিক্ষকদের জীবন নীকষকালো অন্ধকারের অতল গহবরে হারিয়ে যেতে বসেছে।যে সময় টা মিষ্টি সুবাসে ভেসে থাকার কথা চারিদিক ,আজ সবটাতেই যেন একটাই ছোবল।অসহায়তা ,ভাল না থাকার দাবানলে জর্জরিত হচ্ছি প্রতিদিন,প্রতিমুহূর্ত।এমপিও নাই,অনুমোদন নাই ,প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা অতি অপ্রতুল,শিক্ষা মন্ত্রনলায়ের – জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবৃতি নাই,আছে শুধু লাঞ্ছনা,গাঞ্ছনা আর অভাবের তাড়না।ভালো থাকার হাজারো চেষ্টার পরও ভালো নেই কেউ।এমন এক হিরক রাজার রাজ্যে পরিনত হয়েছে আজ আমাদের প্রিয় মাতৃভ‚মি যেখানে ননএমপিও শিক্ষকদের বোঝানো হয় “ অনাহারে নাহি খেদ বেশি খেলে বাড়ে মেদ”।কি চমৎকার টাইপের ভূয়া বুলি।দীর্ঘ ২৯ টি বছর ধরে ছলচাতুরির চাদর গায়ে জড়িয়ে নির্দ্বিধায় দুরভিসন্ধির খেলা খেলে যাচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা মন্ত্রনালয়। কিন্তু আর কত ?স্বপ্ন সুখের মাতাল নেশায় মত্ত হয়ে গৃহ পালিত পশুর ন্যায় জীবনে পার হয়ে গেল মাটির পৃথিবীর ২৯ টি বসন্ত।এখন কথা একটায় “হয় ধান নয় প্রাণ”।প্রতীক্ষা বেড়ে চলে ,সময় পার হয়ে যায় শুধু একটা উত্তরের আশায়।আজও পথ চেয়ে থাকি কবে আসবে সেই মহেন্দ্রক্ষন।অভুক্ত শিক্ষকের পাকস্থলীতে ক্ষরিত রক্তের ¯্রৗেতধারার মত অযাচিত জীবনের ব্যর্থতা একটু একটু করে গ্রাস করে নিচ্ছে সুখের স্বপন গুলো।এ যেন বে -সরকারি অনার্স-মাস্টাসর্ শিক্ষকদের এমপিও না পাওয়ার স্বপ্ন কেনা বেচার গভীর আর্তনাদ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com