বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে দীর্ঘ দিন যাবৎ যথাযথ ও কাঙ্খিত ভূমিকা পালন করে চলছে চিংড়ী শিল্প। আমাদের দেশের জন্য বর্তমান সময়ে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন এবং রপ্তানী বাণিজ্যের বিশেষ প্রয়োজন আর এ কারনে রপ্তানী পণ্য তথা বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনকারী পণ্য সামগ্রী উৎপাদনে বিশেষ ভাবে দায়িত্বশীল হতে হবে। চিংড়ী শিল্পের পাশাপাশি কৃষি পণ্যও রপ্তানী বানিজ্যে এবং বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনে যথাযথ ভূমিকা পালন করে চলেছে। আমাদের দেশ একদা খাদ্য ঘাটতির দেশ হিসেবে পরিচিতি থাকলেও সময়ের ব্যবধানে আর বাস্তবতার নিরিখে আমাদের দেশ খাদ্য ঘাটতির দেশের পরিবর্তে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ অর্জনকারী দেশ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। আবহমানকাল যাবৎ এদেশের কৃষি উৎপাদনশীল, আমাদের দেশের কৃষকরা বৃষ্টিতে ভিজে রৌদ্রে পুড়ে সোনার ফসল উৎপাদন করে আর উক্ত সোনার ফসল দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিশ্ব বাজারে রপ্তানী করা হয় উক্ত রপ্তানীর মাধ্যমে দেশ প্রতিবছর শত শত কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করে থাকে। বাংলাদেশ চিকিৎসা ব্যবস্থায় অতীতের যে কোন সময় অপেক্ষা বর্তমান সময়ে বিশেষ উন্নতি সাধন করেছে আমাদের দেশের ডাক্তাররা বিশ্বের দেশে দেশে বিশ্ববাসির চিকিৎসা সেবা প্রদান করছে সেই সাথে দেশ সা¤প্রতিক বছর গুলোতে উন্নত ও মানসম্মত ঔষধ তৈরী করছে যা রপ্তানীর মাধ্যমে বাংলাদেশ বিপুল পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করছে। আমাদের দেশ কুটির শিল্প রপ্তানীতেও এগিয়ে চলেছে প্রতিবছর বিভিন্ন ধরনের কুটির শিল্প নির্মান, তৈরীতে যেমন ভূমিকা রাখছে এবং তা রপ্তানীর মাধ্যমে বিপুল পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করছে। গার্মেন্টস শিল্পের কথা বাদই দিলাম, বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের মাধ্যম গুলো উৎপাদনে অধিকতর দায়িত্বশীল হতে হবে যেন আমরা তা রপ্তানী করে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করতে পারি।