মাছুদুর জামান সুমন \ আবারও নিত্য পন্যের এবং সবজি বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। পণ্য সামগ্রীর মুল্য বৃদ্ধির পাগলা ঘোড়া ছুটছে তো ছুটছেই। বেসামাল বাজারের কল্যানে ক্রেতা সাধারন এক ধরনের অস্থিরতা ও উদ্বিগ্নতায় নিজেদের কে সম্পৃক্ত করেছে। সপ্তাহ পূর্বেও সবজি, মাছ, মাংস, চাল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর বাজার মূল্য স্থিতিশীল থাকলেও গত দুই তিন দিন যাবৎ মুল্য বৃদ্ধির ঝাজ ছড়িয়ে পড়েছে। ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ বলছে ৪/৫ দিনের বৈরী আবহাওয়া এবং বৃষ্টিপাতের কারনে সবজি উৎপাদনে ঘাটতি, উৎপাদনে থাকা সবজি বাগানে পানি জমে নষ্ট হওয়া, বীজতলা পানিতে তলিয়ে যাওয়া, সড়ক যাতায়াত এবং বৃষ্টি বিঘিœত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারনে সবজি ও পণ্য পরিবহনে ধীরগতি, বহন খরচ অতিরিক্ত যে কারনে পণ্য সামগ্রীর হঠাৎ মূল্য বৃদ্ধি। ভোক্তা তথা ক্রেতা সাধারনের অভিযোগ বৈরী আবহাওয়ার দোহাই দিয়ে এক শ্রেনীর ব্যবসায়ীরা মূল্য বৃদ্ধির ঘটনা ঘটাচ্ছে। বর্তমান বাজার ব্যবস্থায় মূল্য বৃদ্ধির ঘটনায় মধ্যবিত্ত এবং নিন্ম মধ্যবিত্তরা সর্বাপেক্ষা সমস্যার মধ্যে অনেকে দুই দিনের, তিন দিনের বাজার এক দিনে সেরে নিচ্ছে। বাস্তবতা হলো গত সাত দিন পূর্বে যে পন্যের মূল্য ছিল এক ধরনের বর্তমান সময়ে ক্ষেত্র বিশেষ কয়েক গুন বৃদ্ধি পেয়েছে। সাতক্ষীরার বাস্তবতায় গতকাল সাতক্ষীরা শহরের বড় বাজার ঘুরে দেখা গেছে সবজির সরবরাহে কোন ধরনের ঘাটতি নেই। কিন্তু মূল্য বেশী, সরেজমিন বাজার ঘুরে দেখা গেছে পটল কেজি প্রতি ৩০/৩৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩৫/৪০ টাকা, আলু ২৫ টাকা, পেপে ২০/২৫ টাকা, কাঁচকলা ৪০/৪২ টাকা, বেগুন ৪৫/৪৭, লাউ মাঝারী সাইজ ৩০/৩৫ টাকা, পুইশাক ১৫ টাকা, মানকচু ৫০ টাকা, ওল ৬০/৬৫ টাকা, কচুর মুখি ৪০ টাকা, পেচেঙ্গা ৩০ টাকা, ঝিঙে ৩৫ টাকা, লাল শাক ৪০ টাকা, গরুর মূল্য স্থিতিশীল থাকলেও গুরুর মাংসের মুল্য আগুন ধরা সাতক্ষীরা শহরে গুরুর মাংস কেজি প্রতি ৬০০ টাকা হলেও মফস্বল বাজার গুলোতে বিশেষ করে কলারোয়া, ঝাউডাঙ্গা, পারুলিয়া, কুলিয়া, বুধহাটা, আশাশুনি, কালিগঞ্জ, নলতা এলাকায় কোন কোন ব্যবসায়ী ৬৩০ হতে ৬৫০ টাকা কেজি প্রতি বিক্রি করছে। এক্ষেত্রে কোন কোন এলাকায় লবনাক্ত পানি সহ দুষিত পানি মিশ্রন করে ওজন বৃদ্ধির অশুভ প্রতিযোগিতায় নেমেছে। পোল্ট্রি মাংসের বাজার ও উর্ধমুখি আস্ত পোল্ট্রি কেজি প্রতি ১৯০ হতে ২০০ এবং কাটা পোল্ট্রি ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংসের ঝাজ থামছে না এক্ষেত্রে এক শ্রেনির অসাধু মাংস ব্যবসায়ীরা বকরি মাংস খাসির মাংস হিসেবে বিক্রি করে অবলিলায় প্রতারনা করছে। হঠাৎ করে ডিমের মূল্য বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমান বাজারে সাদা ডিম হালি প্রতি ৪৪ টাকা এবং লাল ডিম ৪৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মোটা চালের বাজার স্থিতিশীল চিকন চালের মূল্য উর্ধমুখি, পেয়াজ এর মূল্য ও ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধি পেয়েছে। সাতক্ষীরার এক শ্রেনির ব্যবসায়ীরা বৈরী আবহাওয়ার দোহাই দিয়ে মূল্য বৃদ্ধির যে অনৈতিক, অসম প্রতিযোগিতায় নেমেছে সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষের নজরদারী জরুরী। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বাজার ব্যবস্থা মনিটরিং পরবর্তি স্থিতিশীল বাজার ব্যবস্থা নিশ্চিত করবেন এমন প্রত্যাশা ভোক্তা সহ ক্রেতা সাধারনের।