এফএনএস: খুলনার দৌলতপুরের মিজানুর রহমান খান বাবলু হত্যা মামলায় এক আসামির যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। এ মামলার অন্য ৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস প্রদান করা হয়েছে। গতকাল রোববার খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এসএম আশিকুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কাজী সাব্বির আহমেদ। সাজাপ্রাপ্ত আসামি সিরাজুল ইসলাম মামুন দৌলতপুরের পাবলা মধ্যপাড়া এলাকার আবদুল মান্নানের ছেলে। আদালত সূত্র জানায়, ২০০৫ সালের ২৩ অক্টবর রাত ৮টার দিকে মিজানুর রহমান খান বাবলুসহ আরও কয়েজন দৌলতপুর থানা এলাকার এ এস ট্রেডার্স নামে একটি গ্যাসের দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত ওই দোকানকে লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করে। বোমার আঘাতে বাবলুর বুক ক্ষত বিক্ষত হয়। এ সময় আরও কয়েকজন আঘাতপ্রাপ্ত হয়। মারাত্মক আহত অবস্থায় বাবলুকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ব্যাপরে নিহতের বড় ভাই আশরাফ আলী খান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। পুলিশ এ হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে দৌলতপুর থানা এলাকার পাবলা মধ্যপাড়া এলাকার আবদুল মান্নানের ছেলে সিরাজুল ইসলাম মামুনকে গ্রেফতার করে। আদালতে ১৬৪ ধারায় এ হত্যাকান্ডে নিজের সম্পৃক্ততার কথা ও ৮ জন আসামির নাম উলেখ করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। এ মামলায় অন্যান্য আসমিরা হলেন- আশরাফুজ্জামান আরিফ ওরফে তিলা অরিফ, এস এম আবু সাইদ, মো. তৌহিদুজ্জামান তৌহিদ, মিজান, আশরাফুজ্জামান বাবু ওরফে কমান্ডার বাবু, রেজাউল ইসলাম ওরফে আলম ওরফে শহীদ, শাহাদাৎ হোসেন ওরফে লিটন ওরফে খোড়া লিটন ও মো. শাহিন বিশ্বাস ওরফে শাহীন ওরফে ভাগিনা শাহীন। এদের মধ্যে কয়েকজন আসামি মারা গেছেন। ২০০৬ সালের ৫ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা শাখার পুলিশ পরিদর্শক চিত্তরঞ্জন পাল উলিখিত আসামিদের নাম উলেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পূর্ব শত্র“তার জের ধরে এ হত্যাকান্ড সংঘটিত হয় বলে অভিযোগপত্র থেকে জানা গেছে।