এফএনএস স্পোর্টস: দুই দলেই আছে সাম্বা ফুটবলের দেশ ব্রাজিলের খেলোয়াড়দের ছড়াছড়ি। রিয়াল মাদ্রিদ ও লিভারপুলের মধ্যে আসছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে তাই স্বদেশিদের পারফরম্যান্স দেখার জন্য তর সইছে না কিংবদন্তি পেলের। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে বাংলাদেশ সময় শনিবার রাত ১ টায় শুরু হবে রিয়াল ও লিভারপুলের শিরোপা লড়াই। রিয়ালের রেকর্ড ১৪তম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের অভিযানে বড় ভ‚মিকা রাখতে পারেন দলটির একঝাঁক ব্রাজিলিয়ান। রক্ষণে আছেন সেন্টার-ব্যাক এদের মিলিতাও। স্কোয়াডে থাকলেও অভিজ্ঞ মার্সেলোর অবশ্য শুরুর একাদশে থাকার সম্ভাবনা বেশ কম। লুকা মদ্রিচ ও টনি ক্রুসের সঙ্গে সফল মিডফিল্ড ত্রয়ীর সদস্য কাসেমিরো মাঝমাঠ সামলানোর পাশাপাশি রক্ষণেও রাখেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। রিয়ালের আক্রমণেও সপ্রভিত উপস্থিতি রয়েছে ব্রাজিলের খেলোয়াড়দের। দুই তরুণ ভিনিসিউস জুনিয়র ও রদ্রিগো চলতি মৌসুমে আছেন দারুণ ছন্দে। ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে সেমি-ফাইনালের লড়াইয়ে ১৭৯ মিনিট পর্যন্ত ৫-৩ গোলে পিছিয়ে ছিল রিয়াল। সেখান থেকে দুই মিনিটে দুই গোলে তাদের ম্যাচে ফেরান রদ্রিগো। এরপর ব্যাবধান গড়ে দেন করিম বেনজেমা। ভিনিসিউস ও রদ্রিগোর গোলের বিধ্বংসী সব প্রচেষ্টা ঠেকাতে লিভারপুলের পোস্টে থাকবেন আরেক ব্রাজিলিয়ান, আলিসন। তাকে মনে করা হয় সময়ের সেরা গোলরক্ষকদের একজন হিসেবে। লিভারপুলের মাঝমাঠে থাকবেন ২৮ বছর বয়সী ফাবিনিয়ো। রিয়ালের অভিজ্ঞ মিডফিল্ডারদের বিপক্ষে তার পারফরম্যান্স লড়াইয়ে পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। রিয়ালের মতো লিভারপুলের আক্রমণেও আছে ব্রাজিলের ছোঁয়া। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এই আসরে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচে পাঁচ গোল করা রবের্তো ফিরমিনোর দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে রিয়ালের রক্ষণকে। ক্লাব ফুটবলে দলগত সেরার লড়াইয়ের মাঝেই উত্তরসূরিদের মুখোমুখি দ্বৈরথ দেখার অপেক্ষায় আছেন পেলে। একমাত্র ফুটবলার হিসেবে তিনটি বিশ্বকাপ জয়ী মহাতারকা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুক্রবার শুভকামনা জানিয়েছেন ভিনিসিউস-আলিসনদের প্রতি। “আমি গতকাল শনিবার রিয়াল মাদ্রিদ ও লিভারপুলের মধ্যে একটি দুর্দান্ত ফাইনাল দেখতে চাই। আমার বন্ধু ভিনিসিউস জুনিয়র ও কাসেমিরোর জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ হতে যাচ্ছে আলিসন বেকার ও ফাবিনিয়োর বিপক্ষে লড়াই। আমি কি একাই অঅ ম্যাচ নিয়ে রোমাঞ্চিত? নিশ্চয়ই তা নয়।” অনেকের মতে ইতিহাসের সেরা ফুটবলার পেলে গত কয়েক বছর ধরে নানা রোগে ভুগছেন। নিতম্বে অস্ত্রোপচারের পর এখন তিনি সহায়তা ছাড়া হাঁটতে পারেন না। শারীরিক কিছু সমস্যা দেখা দেওয়ায় গত সেপ্টেম্বরের শুরুতে নিয়মিত পরীক্ষার অংশ হিসেবে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল পেলেকে। সেখানেই তার বৃহদান্ত্রে টিউমার ধরা পড়ে এবং অস্ত্রোপচার করা হয়। প্রায় এক মাস হাসপাতালে থাকার পর অক্টোবরের শুরুতে বাড়ি ফেরেন তিনি। এরপর থেকে নিয়মিত কেমোথেরাপি চলছে তার।