আহম্মাদ উল্যাহ বাচ্ছু, কালিগঞ্জ থেকে \ এক সময় দিন মুজুরের কাজ করে সংসার চালানো কঠিন ছিল। বর্তমানে ভ্রাম্যমাণ ভাঁজার দোকানের আয় দিয়ে সংসার চালানোর পাশপাশি পরিবারে শান্তির ছোয়া লেগেছে। কালিগঞ্জ উপজেলার কুশুলিয়া ইউনিয়নের বাজার গ্রামের বাসিন্দা শেখ নুরুল হক। চটপটি, ফুচকা, ঝালমুড়ি, সিঙ্গারাসহ পিয়াজু বিক্রি করে সফলতা পেয়েছে। ভ্রাম্যমাণ ভ্যান গাড়ির মাধ্যমে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মুক্তিযোদ্ধা ইর্কো পার্কের সামনে এবং এলাকার বিভিন্ন মাহফিলে চটপটি, ফুচকা, ঝালমুড়ি, সিঙ্গারা ইত্যাদি বিক্রি করেন। তার পরিষ্কার—পরিচ্ছন্ন পরিবেশন এবং খাবারের বিশেষ স্বাদের কারণে দূর—দূরান্ত থেকে ক্রেতারা তার কাছে ছুটে আসে। ক্রেতাদের আকর্ষণ বাড়ানোসহ খাবারে স্বাদ বৃদ্ধিতে চুই ঝালসহ বিভিন্ন মসল্লা ব্যবহার করেন। স্থানীয় ক্রেতারা নাঈম হোসেন, সবুজ গাজী, আব্দুর রাজ্জাক গাজীসহ একাধিক ব্যাক্তিরা বলেন, নুরুল হকের খাবার পরিষ্কার এবং স্বাদে অনান্য। সেই সাথে ক্রেতাদের খাবার পরিবেশনের প্রতি গভীর মনোযোগ হওয়ায় জনপ্রিয় ভাড়া ব্যবসায়ি হিসেবে ইতিমধ্যে সকলের নজর কেড়েছে। গতকাল সকালে সরেজমিনে উপজেলা সদরের পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে গেলে ভ্রাম্যমাণ ভাজা ব্যবসায়ি নুরুল হক এ প্রতিনিধিকে বলেন, তার ব্যবসার সফলতা, পরিবারে শান্তি ও স্বচ্ছলতা এনে দিয়েছে। পরিবারের ৫জন সদস্যকে নিয়ে সুখে—শান্তিতে বসবাস করছি। একমাত্র ছেলে বর্তমানে কালিগঞ্জ সরকারি কলেজে অনার্সে লেখপাড়া করছে। তিনি আরো বলেন, যখন ভাড়ার ব্যবসা করতামনা তখন দিনমুজুর দিয়ে সংসার চালানো ভীষণ কষ্টের ছিল। এখন ভ্রাম্যমাণ ভাজার দোকানের আয় দিয়ে পরিবারের চাহিদা পূরণ করতে পারছি। আপনাদের সবার দোয়ায় ভবিষ্যতে আরও এগিয়ে যেতে চাই। আমি ব্যবসার পাশাপাশি দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামায়াতের সাথে আদায় করার চেষ্টা করি।