এফএনএস: অবিলম্বে বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচার বন্ধ করাসহ ছয় দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যাণ সমিতি। গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত প্রতিবাদ মিছিল শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব দাবি জানানো হয়। এর আগে রাজারবাগ থেকে শান্তিনগর কাকরাই দিয়ে সেগুনবাগিচা হয়ে প্রতিবাদ মিছিলটি প্রেসক্লাবের সামনে আসে। সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়, বাংলাদেশে গণতন্ত্র হত্যা ও মাফিয়া রাজত্ব প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করে আসছে ভারত সরকার। ভারতীয় মিডিয়া বাংলাদেশ সম্পর্কে ভিত্তিহীন নেতিবাচক অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত আক্রমণের কাল্পনিক কাহিনী প্রচার করছে। অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তারা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য জীবন দিতেও প্রস্তুত। প্রতিবাদ মিছিলে বক্তারা বলেন, শেখ হাসিনা ভারতের আশ্রয়ে—প্রশ্রয়ে থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নাশকতামূলক কাজ করার ইন্ধন দিয়ে যাচ্ছেন। ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে আপত্তিকর ও দেশদ্রোহিতামূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি যাতে এ ধরনের বক্তব্য রাখতে না পারেন, সে বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধ ভারত সরকার অগ্রাহ্য করছে। বক্তারা আরও বলেন, কোলকাতা ও ত্রিপুরায় বাংলাদেশের উপ—সহকারী হাই কমিশনের নিরাপত্তা দিতে ভারত সরকার ব্যর্থ হয়েছে। সেখানে আমাদের জাতীয় পতাকার অবমাননা করা হয়, প্রধান উপদেষ্টার কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। এতে জাতি হিসেবে আমরা বাংলাদেশিরা মর্মাহত হয়েছি। তারা বলেন, ভারত বৈরিতামূলকভাবে বাংলাদেশের মানুষের জন্য ভিসা দেওয়া বন্ধ রেখেছে। অন্যদিকে, ভারতীয় অনেক হাসপাতাল বাংলাদেশিদের জন্য চিকিৎসাসেবা না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। মনে রাখা প্রয়োজন, ভারতের এমন আচরণ আমাদের চেয়ে ওই দেশের ক্ষতি করছে বেশি। তারা বলেন, দেশের স্বাধীনতা—সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রয়োজনে আমরা জীবন দিতে প্রস্তুত আছি। স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, আমরা এমন এক বাহিনীর উত্তরসূরি, যারা রাজারবাগ পুলিশ লাইন থেকে সর্বপ্রথম পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। আবারও প্রয়োজন হলে আমরা প্রতিরোধ গড়ে তুলবো। বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যাণ সমিতির ছয় দফা দাবি হলোÍ অবিলম্বে বাংলাদেশবিরোধী তৎপরতা ও অপপ্রচার বন্ধ করতে হবে; ভারতে বাংলাদেশ হাই কমিশন, উপ—হাই কমিশনসহ সব বাংলাদেশি স্থাপনার সুষ্ঠু নিরাপত্তা ব্যবস্থা করতে হবে; শেখ হাসিনার সব অপ—তৎপরতা বন্ধ করা এবং তাকে বাংলাদেশ সরকারের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে; সীমান্তে হত্যা বন্ধ করতে হবে; হাসিনা—মোদির গোপন চুক্তি থাকলে তা প্রকাশ করা ও ট্রানজিট, বিদ্যুৎসহ সব বৈষম্যমূলক চুক্তি পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে এবং বাংলাদেশে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন করে দেশেই বিশ্বমানের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। সমাবেশে আরও ছিলেন– বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যাণ সমিতির সভাপতি সাবেক ডিআইজি এম আকবর আলি খান, সংগঠনের মহাসচিব সাবেক এসপি মিয়া লুৎফর রহমান, সংগঠনের সদস্য সাবেক আইজিপি আশরাফুল হুদা, সাবেক এসপি আব্দুর রহমান প্রমুখ।