এফএনএস: ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের যৌথ প্রতিবাদী পদযাত্রা ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি আটকে দিয়েছে পুলিশ। গতকাল রোববার দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটের দিকে রামপুরা ব্রিজের ওপর ব্যারিকেড দিয়ে পদযাত্রাটি আটকে দেওয়া হয়। এর আগে, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে এই পদযাত্রা শুরু হয়। এ পদযাত্রা উপলক্ষে সকাল থেকে রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন নেতাকর্মীরা। পদযাত্রায় যোগ দিতে রাজধানীর বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে সংগঠন তিনটির কয়েক হাজার নেতাকর্মী আসেন। তারা ভারতবিরোধী নানা স্লোগানে দিতে থাকেন। এছাড়াও শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানানো হয় পদযাত্রা থেকে। শেখ হাসিনার পুনর্বাসনে ভারতের যেকোনও ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়া হবে বলেও জানান উপস্থিত নেতাকর্মীরা। পদযাত্রা শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়। প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম—মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। পদযাত্রায় অংশ নেন, যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির প্রমুখ। পরে ভারতীয় দূতাবাসে স্মারকলিপি দেয় জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। স্মারকলিপি প্রদান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির তিন অঙ্গ—সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতারা। এ সময় যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেন, আমরা ভারতীয় হাইকমিশনে স্মারকলিপি দিয়েছি। আমরা কোনো প্রকার অশান্তিতে বিশ্বাসী না। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মুসলমানরা শান্তিপ্রিয়। তারা অত্যন্ত ধৈর্যশীল। আমাদের কোনো প্রভু নেই। আমাদের বন্ধু আছে। আমরা আগ্রাসীতে বিশ্বাসী নই। যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন বলেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যে কোনো ষড়যন্ত্র আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দেবো। ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির বলেন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর শান্তিরক্ষা মিশন বিষয়ে জ্ঞান না থাকলেও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েছেন। যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা—সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি ও বরখেলাপ বলে আমরা মনে করি। বাংলাদেশের জনগণের কথা যুবদলের, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের কথা আমাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থানের কথা আমরা জানিয়ে দিয়েছি। বাংলাদেশের মানুষের প্রতিবাদ দিয়ে আমরা এই পদযাত্রা ও স্মারকলিপি প্রদান শেষ করেছি।