মীর আবুবকর \ ভারতীয় থেকে পন্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশের সময় ঘোজাডাঙ্গা বন্দরে চাঁদাবাজির বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন ও কর্মবিরতি পালিত হয়েছে। সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে গতকাল সকাল ১০টায় ভোমরা সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের আহবায়ক এজাজ আহমেদ স্বপনের সভাপতিত্বে ও সদস্য মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সিএন্ডএফ’র আহবায়ক কমিটির সদস্য রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী, মো. মিজানুর রহমান, আমির হামজা, দীপঙ্কর ঘোষ, আমদানি-রপ্তানিকারকদের মো. শাহানুর ইসলাম শাহীন, রইসুল ইসলাম টুকু, বিলকিস সুলতানা সাথী, রুখসানা পারভীন, শাহানুর ইসলাম শাহীন, দীপঙ্কর ঘোষ, জি এম আমির হামজা, ভোমরা স্থলবন্দর কর্মচারী এসোসিয়েশনের সভাপতি পরিতোষ কুমার ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আলম মিলন, লেবার সংগঠনের সভাপতি মো. সামছুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক মো. নিজামউদ্দিন প্রমুখ। বক্তারা বলেন, ভারতের ঘোজাডাঙ্গা স্থলবন্দরের বেসরকারি পার্কিং ইয়ার্ডে সিরিয়ালের নামে ২৫/৩০ হাজার টাকা চাঁদা না দিলে গাড়ি প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। তাদেরকে ৩০ থেকে ৪৫ দিন বসিয়ে রাখা হয়। চাঁদা পরিশোধ করলে অল্প সময়ে ভোমরা বন্দরে আসতে পারত। চাঁদাবাজি ও সময়ক্ষেপনের কারনে ব্যবসায়ীদের চরম দূর্ভোগে পড়তে হয়। এছাড়া পচনশীল পন্যের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এতে ব্যবসায়ী মহল সহ ক্রেতা সাধারন মারাত্মক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। বক্তারা আরো বলেন, এই ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে অনেক আমদানিকারক ঘোজাডাঙ্গা বন্দর ত্যাগ করে ভারতের অন্য কোন বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছে। এর ফলে ভোমরা স্থল বন্দরে রাজস্ব ঘাটতিও দেখা দিচ্ছে। চাঁদাবাজি বন্ধ না হলে মঙ্গলবার থেকে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করে ভোমরা ঘোজাডাঙ্গা বন্দরে আমদানি রফতানি স্থবির করে দেওয়া হবে। এসময় ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।