কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি \ কেশবপুর পৌরসভা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম শহীদের বিরুদ্ধে জুতা মিছিল করেছে শত শত মহিলারা। সোমবার পৌরসভার ৪ নং আলতাপোল ওয়ার্ডের এসব মহিলারা ঈদ উপলক্ষে সরকারের বিশেষ বরাদ্ধের ১০ কেজি করে চাউল প্রদানের নামের তালিকা থেকে তাদের নাম বাদ দেয়ার প্রতিবাদে তারা বিক্ষোভ করেন । এসময় তারা উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভার অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে। এরপর জুতা নিয়ে পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে বিভিন্ন স্লোগান দেয়। বিক্ষোভকারীরা একপর্যায়ে তাদের নাম বাদ দিয়ে তালিকা প্রস্তুত করার অভিযোগ এনে পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলামের বাড়ি ঘেরাও করে নানা ধরনের স্লোগান দিতে থাকে। প্রায় ঘন্টাব্যাপী অবস্থানকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাদেরকে চাউল দেয়ার আশ্বাস দিলে তারা স্থান ত্যাগ করে। এঘটনায় পৌর শহরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন দলের পদে থেকে কোন প্রকার অনিয়ম, দূর্নীতি, জমি দখল, সালিশ বানিজ্য, টিসিবি কার্ড, ভিজিএফ কার্ডে হস্তক্ষেপ করা যাবে না। দলের নির্দেশনা অমান্য করে কেশবপুর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম ভিজিএফ কার্ডে পুর্বের তালিকা বাদ দিয়ে পছন্দমত ব্যক্তিদের নাম দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভকারীদের স্লোগান ছিলো শেখ শহীদের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে। চাউল বঞ্চিতরা শেখ শহীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসন ও বিএনপির নেতাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এবিষয়ে কেশবপুর পৌরসভার সচিব এনামুল হক বলেন, আমি আজ যোগদান করেছি। এবিষয়ে বিস্তারিত না জেনে কিছুই বলতে পারবোনা। ভোগতি ২ নম্বর ওয়ার্ডের হালিম সরদারের স্ত্রী রেবেকা, ঝড়ো সরদারের স্ত্রী লাকি, শরিফুল ইসলামের স্ত্রী জেসমিন জানান, তারা বিগত আমলে ঈদের সময় এই চাউল পেয়ে আসছিলেন। আজ চাল আনতে গেলে তালিকায় নাম নেই জানিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছে। ওই ওয়ার্ডের বহু দুঃস্থ মানুষকে চাল না দিয়ে ফিরেয়ে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। কেশবপুর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আফজাল হোসেন বাবু বলেন, তার ওয়ার্ডে বিগত তালিকা অনুযায়ী ৫৬০ জনকে চাউল দেয়া হতো। সরকার পতনের পর থেকে নতুনভাবে তালিকা করা হলে তাদের ভেতর থেকে ৩শ জনকে বাদ দেয়া হয়েছে যারা অধিকাংশ অসহায় ও দরিদ্র। এভাবেই প্রতিটা ওয়ার্ডে অসহায় লোকদের বাদ দিয়ে নিজেদের পছন্দমত ব্যক্তিদেও নামের তালিকা করা হয়েছে বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ। এবিষয়ে কেশবপুর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম বলেন, এটা সম্পূর্ণ পরিকল্পিত ভাবে করা হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেক্সোনা খাতুন জানান, তালিকা সম্পর্কে আমার জানা নেই। পূর্বের তালিকা আর বর্তমান তালিকা কোনটারই বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। কারন আমি নতুন এসেছি। এসে যে তালিকা পেয়েছি সেই তালিকা অনুযায়ী গরিব ও দুঃস্থদের এই চাল বিতরণ করা হচ্ছে। তবে আজ যারা এখানে বিক্ষোভ করেছে তারা পৌরসভা ৪নং নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তাদের ভোটার কার্ডের কপি রেখেছে। যাচাই করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।