বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৪৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

ভিয়েতনামে সবচেয়ে বড় মাদক তৈরির কারখানায় অভিযান, ৬ মাস পর সফল পুলিশ

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০২৫

এফএনএস বিদেশ : ভিয়েতনামের পুলিশ দেশের বৃহত্তম সিন্থেটিক মাদক কারখানায় অভিযান চালিয়েছে। মাদক চক্রটিকে ধরতে ছয় মাস ধরে অভিযান চলছিল। অবশেষে গত শনিবার শেষ হয় এই অভিযান। ২০০ জন কর্মকর্তা দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরটিতে তিনটি সংযুক্ত স্থাপনায় অভিযান চালিয়ে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেন। যাদের মধ্যে একজন তাইওয়ানের নাগরিকও ছিলেন। তিনি মাস্টারমাইন্ড হিসেবে অভিযুক্ত। দেশটির উপকূলীয় পর্যটন শহর নাহা ট্রাংয়ের ওই কারখানা থেকে ১.৪ টন কেটামিন জব্দ করা হয়েছে বলে সরকার জানিয়েছে। গত বুধবার দেশটির সরকারি নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত এক বিবৃতি অনুসারে, এটি ভিয়েতনামের সবচেয়ে বড় সিন্থেটিক ড্রাগ উৎপাদন কারখানা। মাদক—সম্পর্কিত অপরাধ তদন্ত বিভাগের পরিচালক নগুয়েন ভ্যান ভিয়েন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরো বলেন, ‘কারখানাটিতে উন্নত প্রযুক্তিসহ বৃহৎ আকারে মাদক উৎপাদন করা হতো।’ গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে চারজন ভিয়েতনামের নাগরিক, চারজন চীনা নাগরিক এবং তিনজন তাইওয়ানর নাগরিক রয়েছেন। এ ছাড়া তাদের মধ্যে ৫১ বছর বয়সী অভিযুক্ত চক্রের নেতা চ্যাং চুন মিংও রয়েছেন। তিনি গত আগস্টে কাচের টিউবের একটি বিশাল চালান নিয়ে ভিয়েতনামে প্রবেশ করেন এবং এর পর থেকেই পুলিশ তাদের ওপর নজরদারি চালিয়ে আসছিল বলে নিউজ পোর্টালটি জানিয়েছে। চ্যাং গত নভেম্বরে নহা ট্রাংয়ের শহরের একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে ১ হাজার ৩০০ বর্গমিটার (১৪ হাজার বর্গফুট) জমি ভাড়া নিয়েছিলেন এবং মাদক উৎপাদনে বিশেষজ্ঞ তাইওয়ানের দুইজন নাগরিককে নিয়োগ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। চীনা পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় শহর নহা ট্রাং। কারখানার কার্যক্রম মূলত রাতে পরিচালিত হতো এবং আধা—সমাপ্ত পণ্যটি পরে পরিশোধনের জন্য অন্য একটি স্থানে স্থানান্তরিত করা হতো। সরকারি বিবৃতিতে পুলিশের উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছে, ‘জব্দ করা মাদক পরিশোধিত হলেও এখনো ভিয়েতনাম বা বিদেশে পাঠানো বা বিক্রি করা হয়নি। ’কমিউনিস্ট ভিয়েতনামে বিশ্বের সবচেয়ে কঠোর মাদক আইন রয়েছে এবং আদালত নিয়মিত মাদকপাচারে দোষী সাব্যস্ত হলে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করে। ভিয়েতনামের একটি আদালত হেরোইন, কেটামিন এবং মেথামফেটামিনসহ ৬০০ কিলোগ্রামের (এক হাজার ৩২০ পাউন্ড) বেশি মাদক পাচারের অভিযোগে ২৭ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। ৬০০ গ্রামের (২১ আউন্স) বেশি হেরোইন বা ২.৫ কিলোগ্রামের বেশি মেথামফেটামিনসহ যে কেউ ধরা পড়লে মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। ভিয়েতনাম ‘গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেল’ মাদক উৎপাদনকারী অঞ্চলের কাছাকাছি অবস্থিত, যেখানে লাওস, থাইল্যান্ড এবং মায়ানমার মিলিত হয়। ভিয়েতনামের পুলিশ জানিয়েছে, ব্যাবসায়িক কেন্দ্র, বিশেষ করে হো চি মিন সিটি ক্রমবর্ধমানভাবে পাচারকারীদের কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠছে। কারণ সা¤প্রতিক বছরগুলোতে পরিবহন অবকাঠামো উন্নত হয়েছে। সূত্র : এএফপি

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com