সিরাজুল ইসলাম খুলনা থেকে \ খুলনা জেলার তেরোখাদা উপজেলায় ভূতিয়ার বিলে শাপলায় ভরপুর।খুলনার বাজার গুলোতে এসে সস্তা তরকারি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। এলাকায় দরিদ্র জনগোষ্ঠী ভূতিয়ার বিলে শাপলা তুলে খুলনার বিভিন্ন বাজারে পাঁচ টাকা মুটো হিসেবে বিক্রি করছে। অল্প পয়সায় ভালোই তরকারি পাচ্ছে ক্রেতারা,দরিদ্র পরিবার করছে জিবিকা নির্বাহ। ২০০০সালের পরে ঐ বিলের নাম রাখা হয়েছিল গলাকাটা বিল এখানে প্রতিনিয়ত গলাকাটা লাশের দেখা মিলতো। ৮১১৭একর জমি ছিল এই বিলের সিমানা। জলাবদ্ধতায় তলিয়ে থাকার কারণে কোন ফসল হতো না।এ এলাকার মানুষ ছিল খুবই অভাবি। শুধু ভূতের বিলই নয় কাঁচিকাটা বিল, বাইশোখালী বিল, বারাসাত বিল, গজালিয়া বিল, পানিতে তলিয়ে থাকতো উপজেলার সিংহভাগ জমি। এলাকার বেশিরভাগ মানুষ মৎস্য শিকার করে জিবিকা নির্বাহ করতো, এরা আদি যুগের মানুষের মত জীবন কাটাতো। ২ হাজার ৯ সালের পর আওয়ামী লীগ সরকার, পুনরায় খাল সংস্কার করে সুইচ গেটের সাহায্যে পানি নিষ্কাসনের ব্যাবস্তা করে এই সকল বৃহত বিলের জমি চাষের উপযোগী করে তুলছে। বর্তমান তেরখাদা এলাকার মানুষ মাছে ভাতে পরিপূর্ণ। ভূতিয়ার বিলে ৭৫/ জমি চাষের উপযোগী হয়ে উঠেছে বাকি জমি এখনো তলিয়ে আছে শাপলা ফুলে সাজিয়ে রেখেছে কি অপরুপ দৃশ্য। আবার এলাকার কাঁচা তরকারির চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন বাজারে বিক্রয় হচ্ছে। এ বিষয় কাচিকাটা গ্রামের কৃষক আলম যানায় আমরা ভূতের বিলে ৮ বছর যাবত বরোমৌসুমে ইরি ধরনের চাষ করে বহু লাবভান হয়েছি এখন আমাদের এলাকায় কোন অভাব নেই।জোয়ার বাদাল গ্রামের আঃ জলিল মড়ল জানায় আমন মৌসুমে সব জমি উঠেনা কিছু, অংশ ডুবে থাকে,তবে বরো মৌসুমে আমরা সব জমিতে চাষাবাদ করি ফসল ও পাই প্রযাপ্ত পরিমাণে। বারোসাত গ্রামের আলতু মোলা জানায় আমাদের বিলে এক সমায় মাছ আর নাইল ছাড়া কিছু মিলতো না। আমরা প্রায়ই আদবেলা অনাহারে দিন কাটাতাম। বর্তমান আমাদের এলাকায় মাছে ভাতে ভরপুর। আমি অল্প জমি চাষ করে ও ৫০মন ধান ঘরে তুলেছি।