বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দূর্যোগ দুর্বিপাকের দেশ হিসেবে পরিচিত। এদেশের উপকুলীয় এলাকা বারবার প্রকৃতির হিংস্র ছোবলে ক্ষত বিক্ষত। আর মানব সন্তান সহ সহায় সম্পদ হারিয়ে চলেছে। দেশে প্রাকৃতিক দূর্যোগ হিসেবে দৃশ্যতঃ ঘুর্ণিঝড়, জ্বলোচ্ছাস বিশেষ ভাবে উলেখ্য কিন্তু বাস্তবতা হলো ভূমিকম্প ও কম ধরনের প্রাকৃতিক দূর্যোগ নয়, ভূমিকম্প এমন এক ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় যা ধ্বংস লীলাকে উৎসাহিত করে মানব সন্তানকে হতাহত করে তারপর নিজেকে গুটিয়ে নেয়। বাংলাদেশ বরাবরই ভূমিকম্প প্রবন এলাকা হিসেবে পরিচিত। যে কোন সময়ে দেশে ভূমিকম্প অনুভূত হতে পারে। গতকাল ছিল ১২ জুন ঐ দিনে (১৮৫৭ সাল) ইতিহাসের এক ভয়াবহ ধ্বংসাত্মক ভূমিকম্প আঘাত হানে ভারত, ভূটান, মিয়ানমার ও বাংলাদেশে, উক্ত আঘাত হানা ভূমিকম্পে মিয়ানমার ও নেপালে ব্যাপক ধ্বংস স্তুপচিহৃ অঙ্কিত হয়। বিপুল সংখ্যক মানব সন্তান নিহত হয়, অগনিত ঘরবাড়ি ও সম্পদ মাটিতে তলিয়ে যায়। বাংলাদেশে ইতিমধ্যে একাধিকবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান কম, যেহেতু আমাদের দেশে ভূমিকম্প প্রবন এলাকা বিধায় সতর্কতার বিকল্প নেই। বিধায় ঘর বাড়ি নির্মানের পূর্বে ভূমিকম্প সহনীয় পরিবেশ পরিস্থিতি জেনে নেওয়া উচিৎ বিশেষ করে মাটি, বিশেষ করে বহুতল ভবন নির্মানের পূর্বে মাটির প্রকৃত অবস্থান জানতে হবে। সয়েলটেস্ট করতে হবে। বিধায় নিয়ম মেনে বাসাবাড়ী তৈরী করতে হলে অবশ্যই মাটির গুনাগুন নিশ্চিত করতে হবে। ভূমিকম্পে বাড়ী, সহ অন্যান্য সম্পদ রক্ষা করতে বাড়ী বানানোর পূর্বেই তা নিশ্চিত করতে হবে। একটি ভূমিকম্প কতটুকু ক্ষতি সাধন করতে পারে এবং জীবনহানী ঘটায় তা কেবল সা¤প্রতিক সময়ে ইরান মিয়ানমার ও নেপালের ভূমিকম্প হতে সহজেই অনুমেয়। ভূমিকম্প আগাম সতর্কতা জানান দেয় না আর তাই মারাত্মক ও ধ্বংসাত্মক ভূমিকম্প দৃশ্যতঃ অতি নিরবে এবং আকস্মিক ভাবে দেখা দেয় তাই সতর্ককতা অতি জরুরী।