 
																
								
                                    
									
                                 
							
							 
                    এম এম নুর আলম \ সরকার ভোজ্য তেলের দাম নির্ধারণ করে দিলেও আশাশুনি উপজেলার অসাধু ব্যবসায়ীরা তা মানছেনা। এছাড়া প্রায় সকল প্রকার দ্রব্যের মূল্য প্রতিদিন অনিয়ন্ত্রিতভাবে বেড়ে চলেছে। সরকারি ভাবেও বাজার নিয়ন্ত্রণে তেমন কোন পদক্ষেপ গ্রহন করা হচ্ছেনা। ফলে আশাশুনির সাধারণ মানুষসহ সকল পর্যায়ের মানুষ চরম ভাবে বিপদাপন্ন হয়ে পড়েছে। বাজারে গত ১৫/২০ দিনে ঘোড় দৌড়ের মত লাগামহীন ভাবে দ্রব্য মূল্য বেড়ে চলেছে। তরিতরকারি প্রায় সবগুলোর মূল্য বৃদ্ধি ঘটেছে। একবার নয় বারবার মূল্য বেড়েই চলেছে। রড, সিমেন্ট এর মূল্য যেন থামতে চাইছেনা। সকালে এক দাম আবার রাত পোহালেই ১০/২০ টাকা কেজিতে বৃদ্ধি। ভাবতে অবাক লাগে কিভাবে প্রতিদিন এভাবে মূল্য বৃদ্ধির ঘটনা ঘটছে। সাথে সাথে সকল ভাজা খাদ্য, বেকারীর খাদ্য, মিষ্টিদ্রব্য, ফল, লোহার দ্রব্য থেকে শুরু করে সকল মালামালের মূণল্য বৃদ্ধি ঘটছে। মূল্য বৃদ্ধির একটা বাস্তব কারণ থাকা উচিৎ। কিন্তু না কোন যুক্তি সংগত কারন ছাড়াই যেন ইচ্ছেমত দাম বাড়ানো হচ্ছে। গত ১১ মার্চ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার সাংবাদিকদের জানান, গত ৬ ফেব্র“য়ারি সয়াবিনের সর্বোচ্চ খুচরামূল্য ১৬৮ টাকা একং বোতলজাত ৫ লিটারের দাম ৭৯৫ টাকা। এছাড়া খোলা সয়াবিন প্রতি লিটার সর্বোচ্চ ১৪৩ টাকা এবং খোলা পাম অয়েল লিটার প্রতি ১৩৩ টাকা মন্ত্রণালয় দাম নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু উপজেলার কোন বাজারে বা দোকানে এ মূল্য মানা হচ্ছেনা। তিনি আরও বলেন, কারও কাছ থেকে নির্ধারিত দামের বেশি নেওয়া হলে রিসিভ নিয়ে আমাদের হটলাইন ১৬১২১ নম্বরে কল করে অভিযোগ জানাতে হবে। আমরা দ্রুত অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। কিন্তু অসাধু ব্যবসায়ীরা এসব পন্যের রিসিভ দিতে চাইছে না।এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইয়ানুর রহমান জানান, আমরা বিভিন্ন বাজারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য সচেতনতা মূলক প্রচার চালাচ্ছি। কারো কাছ থেকে কোন অভিযোগ আমরা পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।