শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৫৫ অপরাহ্ন

ভোটে নাশকতার শঙ্কা প্রচারণায় সর্তক থাকার পরামর্শ

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৩

## ভোটারদের ভোট প্রদানের নিশ্চয়তা ও নিববচ্ছিন্ন এজেন্ট রাখার দের
## কে কি বললো না ভেবে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে হবে
জি এম শাহনেওয়াজ ঢাকা থেকে ॥ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটে নাশকতার শঙ্কা দেখছেন দেশের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, যেহেতু একটি বিশেষ দল নির্বাচন প্রতিহতের কর্মসূচি দিয়েছে। চলমান প্রচারণায় যাতে নাশকতার ঘটনা না ঘটে সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে। ভোটের আগ পর্যšত্ম বিশেষ নজরদারি চালানোর তাগিদ দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকা জেলার আইন-শৃঙ্খলা রড়্গাকারী বাহিনীর সঙ্গে অনুষ্ঠিত ইসির সভায় এই বিষয়টির আশঙ্কা করা হয়েছে। এদিকে, বিকালে ঢাকার জেলার প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী এবং দলের বিদ্রোহী প্রার্থী ছাড়া বেশির ভাগ প্রার্থী নির্বিঘ্নে ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন কি না কমিশনের কাছে নিশ্চয়তা চেয়েছেন। পাশাপাশি দলীয় এজেন্টরা যাতে কেন্দ্রে নির্ভয়ে দায়িত্ব পালন করতে তার গ্যারেন্টি চেয়েছেন নৌকার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। তবে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং প্রার্থীদের নানা ধরণের আশঙ্কার কথা শোনার পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল আশ¯ত্ম করে জানিয়েছেন, নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও শাšিত্মপূর্ণ। এটা যেকোন মূল্যে করতেই হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। খবর ইসির নির্ভরযোগ্য সূত্রের। সভার সূত্রে জানা গেছে, অতীতের মতো এবারো পুলিশের পড়্গ থেকে ব্যালট পেপার ভোটের আগের রাতে কেন্দ্রে পৌঁছানোর দাবি জানানো হয়। বলা হয়, ঢাকা বিভাগের অনেক এলাকা দূর্গম। এসব এলাকায় সকালে ব্যালট পেপার পৌছানো চ্যালেঞ্জ হবে। একই সঙ্গে পুলিশের পড়্গ থেকে সাব-ক্যাম্প করে দূর্গম এলাকার ব্যালট সংরড়্গণের প্র¯ত্মাব দেয়া হয়। জবাবে সিইসি সরাসরি পুলিশের এই প্র¯ত্মাব নাকচ করে বলেছেন, রাত ৪টার সময় রওনা দিলে নির্ধারিত সময়ের আগে পৌছানো সম্ভব। বলেন, এর পরও সমস্যা মনে করলে আপনারা ( রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটানির্ং কর্মকর্তা এবং আইন-শৃঙ্খলা রড়্গাকারী বাহিনী) নিজেরা বসে সমন্বয় করবেন। কোথায় কি ধরণের সমস্যা হবে ব্যালট পৌঁছাতে সেটা লিখিত জানালে কমিশন বিবেচনা করবে। সভায় কমিশনের পড়্গ থেকে ঢাকার আসনগুলোতে দায়িত্ব পালন করা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) কাছে নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে জানতে চান। একই ইস্যুতে বিভিন্ন থানার ১০ থেকে ১৫ জন ওসি কথা বলেন। তারা সবাই বলেন, নির্বাচনী পরিবেশ ভালো আছে। কোনো ধরণের নাশকতার আশঙ্কা নেই। এর পরই গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের পড়্গ থেকে নাশকতার আশঙ্কা রয়েছে বলে বক্তব্য তুলে ধরেন। বলা হয়, বিশেষ কয়েকটি দল এবারের নির্বাচনে অংশ নেয়নি। তারা নাশকতার চেষ্টা চালাচ্ছে। বর্তমানে প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণা চলছে। এই প্রচারণার বিষয়ে বিশেষ নজরদারি চালানো উচিত। কারণ প্রচারণার মধ্যে নাকশতা চালিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করে তুলতে পারেন। ভোটের আগের দিন পর্যšত্ম এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। সবাইর কথা শোনার পর নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর তার বক্তব্যে বলেন, কি হলো না হলো তা দেখার বর্তমানে সুযোগ নেই। নির্বাচনটা যেকোন মূল্যে সুষ্ঠু ও শাšিত্মপূর্ণ হতেই হবে। কারণ দেশে এবং আšত্মজার্তিক মহলে এই নির্বাচনটা যেনো দেখতে পায় ভোটটি গ্রহণযোগ্য হয়েছে। এই নির্বাচন ঘিরে যে গণতন্ত্রের সূচনা হলো তা অব্যাহত রাখতে হবে। এদিকে, বিকেলে নৌকা ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেনি। কিন্তু এই দুই ধারার বাইরে অন্যান্য দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নিজেদের, ভোটারদের এবং প্রার্থীদের নির্বাচনী এজন্টদের নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তা নিশ্চিত করার জন্য কমিশনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। জবাবে কমিশনের পড়্গ থেকে আশ¯ত্ম করে বলা হয়েছে, যেই প্রার্থী হয়েছেন সেটা আমাদের দেখার দায়িত্ব না। ভোট হতে হবে অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও শাšিত্মপূর্ণ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com