স্টাফ রিপোর্টার ঃ ভোমরা স্থল বন্দরের ওপার, এপারের চাঁদাবাজ গ্র“পের প্রধান পশ্চিম বাংলার বসিরহাটের আব্দুল বারিক বিশ্বাসকে গ্রেফতার করেছে ভারতীয় পুলিশ সংস্থা সিআইডি। ভোমরা বন্দরের আগত পণ্যবাহী ট্রাক কৃত্রিমভাবে যানজট সৃষ্টি করে বাংলাদেশী আমদানী কারকদের হতে ট্রাক প্রতি ত্রিশ থেকে পঞ্চাশ হাজার কোন কোন ক্ষেত্রে তারও অধিক টাকা চাঁদাবাজি করা আব্দুল বারিক বিশ্বাসের আদায় করা উক্ত টাকা ভোমরা বন্দরের দায়িত্বশীল সংগঠনের নেতৃবৃন্দের অনেকে ভাগ পেয়ে থাকে। দীর্ঘদিন যাবৎ অসম চাঁদাবাজির কারনে ব্যবসায়ীদের মাঝে ক্ষোভ হতাশা আবার কোন কোন ক্ষেত্রে উক্ত বাঁদাবাজির টাকা তুলতে রাজস্ব ফাকির আশ্রয় গ্রহন করার ইচ্ছা সৃষ্টি হয়। আর এমন ঘটনায় সরকারের রাজস্ব ফাকির ক্ষেত্র যেমন উন্মুক্ত হচ্ছে অনুরুপ চোরাচালানকে উৎসাহিত করার পথ প্রশস্থের ক্ষেত্র নিশ্চিত হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা এক পণ্যের ঘোষনায় ভিন্ন পণ্য আমদানী করার অশুভ প্রক্রিয়া গ্রহন করার চেষ্টা করছে না এমনটি না ভাবার সুযোগ নেই। সূত্র জানায় দুই পারের চাঁদাবাজির হোতা আব্দুল বারিক বিশ্বাসের গ্রেফতারের খবর মুহুর্তে ভোমরা বন্দর এলাকায় পৌছালে বন্দর কেন্দ্রীক তার সহযোগী নেপথ্য চাঁদাবাজের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভোমরা বন্দরের যানজট কেন্দ্রীক চাঁদাবাজির সাথে জড়িত ব্যবসায়ী সংগঠনের কোন কোন নেতৃত্ব জড়িত তা আইন শৃংখলা বাহিনীর অজানা নয়, গোয়েন্দা তথ্য এবং ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে গোয়েন্দা সংস্থা গুলোর অজানা নয়, আর এ কারনে চাঁদাবাজ কথিত ব্যবসায়ীরা কেবল অস্বস্তিতে নয় দুশ্চিন্তায় আছে। সূত্র জানায় বন্দরের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী নেতাদের কেউ কেউ নিয়মিত আব্দুল বারিক বিশ্বাসের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতেন, এবং তার বসির হাটস্থ বাসভবন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কোন কোন ব্যবসায়ীরা যাতায়াত ছিল সেটাও তদন্তের বিষয়। ভারতের কয়লা পাচারের অভিযোগ গ্রেফতার হওয়া উক্ত বারিক বিশ্বাসের ঘোজাডাঙ্গায় ট্রাক চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ভোমরা বন্দরের ব্যবসায়ীরা যখন আন্দোলনে নেমেছিল আমদানী বর্জনের মত কঠোর সিদ্ধান্ত যাচ্ছিলো সেই সময়ে ব্যবসায়ীদের আন্দোলন এই বলে থামানো হয়েছিল যে ঘোজাডাঙ্গায় আর চাঁদাবাজি হবে না বারিক বিশ্বাস আশ্বস্থ করেছেন। কিন্তু পরবর্তিতে দেখা গেছে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেনি যে কারনে আন্দোলনরত প্রকৃত ব্যবসায়ীদের তৎকালীন সময়ে এমন গ্রহনযোগ্য বাক্য ছিল চাঁদাবাজি বন্ধ করার আলোচনায় যেয়ে চাঁদাবাজি করার ক্ষেত্র আরও মজবুত এবং পরিমান বৃদ্ধি করা হয়েছে। ভোমরা বন্দরের পণ্যবাহী ট্রাকে চাঁদাবাজির সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনলে কেবল ভোমরা বন্দর ব্যবসা সফল এবং প্রকৃত ব্যবসায়ীদের অবস্থান ও সরকারের রাজস্ব উপার্জন লক্ষ্য মাত্রা অর্জন করবে।