মাছুদুর জামান সুমন/মীর আবু বকর \ দেশের অন্যতম ব্যস্ততম এবং ব্যবসা নির্ভর বন্দর হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে ভোমরা স্থল বন্দর। সাতক্ষীরা জেলার অর্থনীতিকে সুসংহত করার পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিকেও বিশেষ ভাবে সুদৃঢ় ভাবে চলেছে এই বন্দর। অতীতের যে কোন সময় অপেক্ষা সা¤প্রতিক সময় গুলোতে ভোমরা বন্দর আমদানী রপ্তানী নির্ভর হয়ে পড়েছে। বেনাপোলের ন্যায় ভোমরা বন্দর অতি ব্যস্ত সময় অতিক্রম করে চলেছে। দেশের বিভিন্ন এলাকা হতে ব্যবসায়ীরা ভোমরা বন্দরে ব্যবসা করতে আসছে। সাতক্ষীরার অর্থনীতিতে ভোমরা বন্দর দৃশ্যতঃ আর্শীবাদ হয়ে উঠেছে। ব্যবসা নির্ভর বন্দরটির অবকাঠামোগত উন্নয়ন চোখে পড়ার মত। ভোমরা বন্দরে ব্যবসা করা একাধিক ব্যবসায়ী দৃষ্টিপাতকে জানান কোন ধরনের ঝামেলা ব্যতিত সম্পূর্ণ নিরাপত্তার সাথে তারা ব্যবসা করছেন। কোন কোন অসাধু ব্যবসায়ীরা অস্তিত্ব যে বন্দরটিতে নেই তা নয়, এক শ্রেনির প্রতারক চক্র ও সদা সক্রীয়। এক ঘোষনায় পণ্য আনা নেওয়া এবং ওজন কারচুপির ঘটনাও নেই। প্রতিদিন আমদানী রপ্তানী আর ব্যবসায়ীদের সরব উপস্থিতি দৃশ্যতঃ ভোমরা বন্দরকে উৎসবমুখর করে রেখেছে। যানজট ও প্রায় শুন্যের কোঠায়। এক ধরনের ছিচকে চোরের ও ল্যাগেজ পার্টির তৎপরতা মাঝে মধ্যে বন্দরের পরিবেশ ও সুনাম নষ্ট করছে। সরেজমিন পরিদর্শনে ও ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানাগেছে আমদানী পন্য গুলোর মধ্যে পেয়াজ, রসুন, আদা, শুকনাকুল, শুকনা ঝাল, হলুদ, মশুরীর ডাল, ভুট্টো, বাদাম, গোখাদ্য, পাউডার, আঙ্গুর, আপেল, আনার, টমেটো, মসলা, পাথর সহ অন্যান্য। রপ্তানী পন্যের মধ্যে জুট ইয়াং, পাট জাতীয় পণ্য, প্লাষ্টিক সামগ্রী, ফুয়াং তিল, রেডিমেট গার্মেন্টস, ট্রাভেল ব্যাগ, ফিশিং নেট, লিচু, ড্রিংকিং প্রমুখ। ভোমরা বন্দর হতে সরকার প্রতিবছর বিপুল পরিমান রাজস্ব উপার্জন করে। উক্ত উপার্জিত রাজস্ব দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে কাঙ্খিত ভূমিকা রেখে চলেছে। দেশের অপার সম্ভাবনাময় এই বন্দরটির বর্তমান অবস্থা অব্যাহত থাকলে আমদানী রপ্তানী বানিজ্য অধিকতর গতিশীল হবে। আর ব্যবসা নির্ভরতা যতই অগ্রগামী ও সম্ভাব্যতা থাকবে দেশের অর্থনীতির বুনিয়াদ ততোই সুদৃঢ় হবে এমন প্রত্যাশা ব্যবসায়ীদের ও ভোমরা বন্দর ব্যবহার কারীদের।