স্টাফ রিপোর্টার \ ভোমরা স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্টস্ এসোসিয়েশন নির্বাচনে মনোনয়নপত্র গ্রহণে বাধা প্রদানের অভিযোগ। তবে সোমবার অজ্ঞাত স্থানে সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের ৯টি পদের বিপরীতে নির্ধারিত ৯ জনের মনোনয়নপত্র গ্রহণ করা হয়েছে বলে একটি সূত্রের দাবি। তবে নির্বাচন কমিশনার আশরাফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি জানানো হয় গতকাল ৯ মে মনোনয়নপত্র সরবরাহের ধার্য্য দিনে সিএন্ডএফ’র কার্যনির্বাহী কমিটির ৯টি পদের বিপরীতে ১৮টি মনোনয়নপত্র বিক্রয় হয়েছে। সিএন্ডএফ এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের সদস্যরা জানান, সোমবার ছিল কমিটির নির্বাচনের ঘোষিত তফশীল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের দিন। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সময়সীমা বেধে দেওয়া হলেও এই সময়ের মধ্যে সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনে নির্বাচন কমিশনের কোন সদস্য হাজির হননি। অপরদিকে সেখানে ছিল পুলিশের উপস্থিতি। নির্বাচনে আগ্রহী সদস্যরা জানান, তারা যথাসময়ে মনোনয়নপত্র দাখিলের জন্য সেখানে উপস্থিত হয়েও কমিশনের কোন কর্মকর্তার দেখা পাননি। এমনকি মোবাইল ফোনে তাদের সাথে কথাও বলতে পারেননি। সিএন্ডএফ এসোসিয়েশন ভবনে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা কোন ব্যক্তিকে সেখানে ঢুকতে দেননি। ফলে মনোনয়নপত্র হাতে নিয়ে তারা দীর্ঘ সময় কাটিয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যান। ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের আহবায়ক মিজানুর রহমান জানান, গত ২৫ এপ্রিল সাধারন সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক আশরাফুর রহমানকে নির্বাচন কমিশনার, জালাল উদ্দীন আকবরকে সদস্য সচিব এবং আব্দুস সালামকে সদস্য করে ৩ সদস্যের কমিশন গঠন করা হয়। গতকাল সোমবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিলের সময়সীমা নির্ধারন করা হয়। অথচ তিনি নিজেসহ অন্যরাও মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি। সিএন্ডএফ এসোসিয়েশন ভবনে কমিশনের কোন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন না। সেখানে কেবলমাত্র পুলিশ দায়িত্বরত ছিল। তারা কোন সদস্যকে সেখানে দাঁড়াতেও দেননি। একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরে কোটি টাকার বানিজ্যের খবর চাউর হয়।