ঢাকা ব্যুরো \ বহু কাঙ্খিত পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় মংলা বন্দরের রাজস্ব বৃদ্ধিস সার্বিক উন্নয়নে নতুন সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সুনির্দ্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের সুপারিশ করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। কমিটির বৈঠকে ড্রেজিংসহ ইতোমধ্যে গৃহীত উন্নয়ন প্রকল্পগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। বুধবার (১৭ আগস্ট) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়। সংসদীয় কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম, বীর উত্তমের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মো. মজাহারুল হক প্রধান ও এম আব্দুল লতিফ এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে মংলা বন্দর কর্র্তৃপক্ষের পরিকল্পনা বিভাগের প্রধান মো. জহিরুল হক স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামীতে মংলা বন্দরের ব্যবহার কয়েকগুণ বেড়ে যাবে এই সম্ভাবনাকে সামনে রেখে বন্দরের উন্নয়নে ৮টি প্রকল্প চলমান রয়েছে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় ঢাকা ও ঢাকার আশপাশের আমদানি রপ্তানি পণ্য, বিশেষ করে গার্মেন্টস সামগ্রী মংলা বন্দরের মাধ্যমে সহজে পরিবাহিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ইতোমধ্যে মংলা বন্দরের মাধ্যমে ১৭টি গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠান ও ২৭টি টিইউজ মালামাল পোল্যান্ডে রপ্তানি করেছে। আরো বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী মাসে ১৩৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধন করবেন। ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হলে মংলা বন্দর দিয়ে প্রতি বছর কমপক্ষে ৪৫ লক্ষ মেট্রিক টন কয়লা আমদানি হবে। এছাড়া মংলা বন্দর এলাকায় বাংলাদেশ-ভারত যৌথভাবে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে। সেটা হলে এই বন্দরের মাধ্যমে নতুন নতুন পণ্য আমদানি-রপ্তানী হবে। এতে বন্দরের ব্যবহার বহুগুণ বেড়ে যাবে। যা বন্দরের সার্বিক উন্নয়নে বড়ধরণের ভ‚মিকা রাখবে। কমিটি সূত্র জানায়, বৈঠকে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প ও উহার বাস্তবায়ন অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা শেষে প্রকল্পগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়নের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। পদ্মা সেতুকে ঘিরে সৃষ্ট সম্ভাবনাকে কাজ লাগাতে নতুন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে মংলা বন্দরের সীমানা স¤প্রসারণ বিষয়ে অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে প্রতিবেদন পেশ করার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া বৈঠকে বুড়িগঙ্গা ও ধলেশ্বরী নদী দূষণ প্রতিরোধে মন্ত্রণালয়কে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।