এফএনএস বিদেশ : তফসিলি আদিবাসীর মর্যাদা নিয়ে আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে স্থানীয় জাতিগত গোষ্ঠীগুলোর বিক্ষোভে উত্তাল ভারতের মণিপুর রাজ্য। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় ডাকা হয়েছে সেনা ও আধাসামরিক বাহিনী। সেনাবাহিনী গতকাল বৃহস্পতিবার মণিপুরের সহিংসতা-কবলিত এলাকায় একটি পতাকা মিছিল করেছে বিক্ষুব্ধরা। ইমফল, চুরাচাঁদপুর এবং কাংপোকপিতে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর গত বুধবার রাতেই মণিপুরের আট জেলায় কারফিউ জারি করা হয়। রাজ্যে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবাও স্থগিত করেছে মণিপুর রাজ্য সরকার। ইমফলের কিছু অংশে গতকাল বৃহস্পতিবারও সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। সহিংসতার পর রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ৯ হাজার মানুষকে উদ্ধার করা করে সেনা ক্যাম্প এবং সরকারি অফিস চত্বরে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং আসাম রাইফেলস মণিপুরের আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারে নিরলসভাবে কাজ করছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী মণিপুরের জনগণের মঙ্গল ও সুরক্ষার জন্য প্রতিশ্রæতিবদ্ধ। গত বুধবার মণিপুরের অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়নের তরফে চুরাচন্দ্রপুরের তোরাবাঙ্গ এলাকায় আদিবাসী ঐক্য মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিল। মেটেই জাতিকে আদিবাসী স¤প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে এই কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়। পুলিশের ভাষ্য, হাজার হাজার মানুষ সমাবেশে অংশ নিয়েছিল। সে সময় স্থানীদের মধ্যে সহিংসতা শুরু হয়। বিদ্যমান আইন অনুসারে, মেটেইদের রাজ্যের পার্বত্য অঞ্চলে বসতি স্থাপনের অনুমতি নেই। মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং বুধবার যে স্থানে ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল, সেটি ভাঙচুর করা হয়েছে। সেদিন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজ্যের অন্যান্য অংশ থেকে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনীকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল। এদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গতকাল বৃহস্পতিবার সহিংসতা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং-এর সঙ্গে কথা বলেছেন। উত্তর-পূর্ব রাজ্যের সহিংসতা কবলিত এলাকায় র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সও (আরএএফ) পাঠিয়েছে কেন্দ্র। সূত্র: এনডিটিভি