সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:১৫ অপরাহ্ন

মনিরামপুরে ঈদের ছুটিতেও বিশেষ ব্যবস্থায় সেবা দেয়া হচ্ছে পরিবার কল্যান কেন্দ্রে

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় শনিবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৫

মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি \ সবাই যখন ঈদের ছুটিতে আনন্দে আত্মহারা, তখন যশোরের মনিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে মা ও শিশুদের সেবা ছিল অব্যাহত। নিজেরা ছুটির পূর্নাঙ্গ আমেজ না পেলেও গর্ভবতি মা সহ সাধারন সেবা গ্রহিতাদের সেবা দিতে পেরে মানষিক প্রশান্তি পেয়েছে পরিবার কল্যান কেন্দ্রের কর্তৃব্যরত একঝাক কর্মী। অন্যদিকে ছুটির মধ্যে সেবা পেয়ে ভূক্তভোগী মা ও শিশুরা আনন্দে উদ্ভাষিত। এমনটি জানাগেছে কয়েকটি পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে সেবা গ্রহীতাদের সাথে আলাপ করে। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিস সূত্রে জানাযায়, দেশব্যাপী পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ২৭ মার্চ থেকে সরকার টানা নয়দিন ছুটি ঘোষনা করেন। কিন্তু গর্ভবতি মা সহ সেবগ্রহীতাদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় উপজেলার ইউনিয়ন পরিবার কল্যান কেন্দ্র সমুহ খোলা রাখা হয়। ফলে নিজেদের ঈদ আনন্দ ভূলে গিয়ে পরিবার পরিকল্পনার কর্মীরা পরিবার কল্যান কেন্দ্রে রোগীদের সেবা দেন। আর এ কারনে বিশেষ করে গর্ভবতিসহ সাধারন মা ও শিশুরা সেবা পেয়ে বেশ স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। বৃহস্পতিবার ছুটির দিন উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিবার কল্যান কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, গর্ভবতি মায়েদের চেকআপ করা হচ্ছে। পরিবার কল্যান পরিদর্শিকা(এফডবিøউভি) শ্রাবনী দাস সোনাডাঙ্গা গ্রাম থেকে আসা গর্ভবতি মা সিমলা খাতুনকে দ্বিতীয় চেকআপ করছেন। চেকআপের পর তাকে আয়রন ট্যাবলেট দিয়ে বিভিন্ন পারর্মশ প্রদান করেন। আবার একটু পরে আর এক গর্ভবতি শিরিনা খাতুন আসেন অনুরুপ চেকআপ করাতে। তাকেও চেকআপের পর কিছু ওষুধ দিয়ে বিভিন্ন পরামর্শ দেন। এ ছাড়াও সেখানে আসা শিশু আয়ান, সাথি খাতুন, মনিরা খাতুন, কল্যানি দাসসহ বেশ কয়েকজনকে জ¦রের ওষূুধ দিতে দেখা যায়। ছুটির মধ্যে সেবা পেয়ে তারা বেশ আনন্দ প্রকাশ করেন। গর্ভবতি শিরিনা খাতুন জানান, সকাল থেকে তার খুব পেইন হচ্ছিল। তিনি দেরি না করেই চলে আসেন পরিবার কল্যান কেন্দ্রে। ছুটির দিনে তিনি সেবা পেয়ে কর্তৃব্যরত ভিজিটরের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।্একই দৃশ্য চোখে পড়ে উপজেলার ঝাপা, শ্যামকুড়, হরিদাসকাাটি, নেহালপুর পরিবার কল্যান কেন্দ্রে গিয়ে। শুক্রবার বিকেলে নেহালপুর পরিবার কল্যান কেন্দ্রে সুমি খাতুন নামে এক প্রসুতিকে চেকআপ করা হচ্ছে। দায়িত্বপালনকারী এফডাবিøউভি মামেন সুলতানা জানান, ঈদের আগের দিন বিকেলে বালিধা গ্রামের গর্ভবর্তি মা সুমি খাতুনের প্রসব বেদনা শুরু হলে তাকে পরিবার কল্যান কেন্দ্র আনা হয়। রাত আটটার দিকে নরমাল ডেলিভারী করানো হয়। মামেন সুলতানা জানান, কোনপ্রকার ঝামেলা ছাড়াই নরমাল ডেলিভারী করাতে পেরে তিনি খুব খুশি। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. সুদিপ্ত সেন জানান, ছুটির দিনে উপজেলার ১৭ টি পরিবার কল্যান কেন্দ্রে প্রসবকালিন সেবা দেওয়া হয় ৩৭ জন, প্রসোবত্তর সেবা ১২ জন, কিশোর-কিশোরী সেবা ৫২ জন, শিশু ৩৪ জন, সাধারন ১৬৭ জন। পরিবার পরিকল্পনা খুলনা বিভাগের পরিচালক বিকাশ কুমার দাস জানান, ঈদে ছুটির মধ্যেও গর্ভবতি মায়েদের স্বাস্থ্যের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বিশেষ ব্যবস্থায় পরিবার কল্যান কেন্দ্র খোলা রেখে যথাসম্ভব সেবা প্রদান করা হয়। আর এ জন্য পরিবার পরিকল্পনার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরা নিজেদের ঈদ আনন্দে একটু কমতি হলেও মা ও শিশুদের সেবা দিচ্ছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com