মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি \ যশোরের মনিরামপুরে সোমবার দুপুরে উপজেলা পরিষদের সামনে দৈনিক গ্রামের কাগজের প্রতিনিধি ও প্রেসক্লাবের আইসিটি বিষয়ক সম্পাদক তাজাম্মুল হোসাইনের ওপর সন্ত্রাসী হামলা ও মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। এতে সাংবাদিক তাজাম্মুল আহত হলে তাকে উদ্ধারের পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনা জানাজানি হলে সাংবাদিক মহলসহ এলাকাবাসীর মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করে। পুলিশের এক সময়ের কতিথ সোর্স বুলবুল আহমেদ বুলির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইতিপূর্বে দৈনিক গ্রামের কাগজসহ বেশ কয়েকটি দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরই প্রেক্ষিতে ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিক তাজাম্মুল হোসাইনের ওপর এ হামলা চালানো হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় বুলবুল আহমেদ বুলির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। জানাযায়, উপজেলার পাড়িয়ালি গ্রামের বুলবুল আহমেদ বুলি ইতিপূর্বে ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালানোর পাশাপাশি পুলিশের কতিথ সোর্স হিসেবে কাজ করত। এ ছাড়া সাবেক স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্যে্যর দু:সম্পর্কের ভাগ্নে পলাশ কুশরির সাথে মিলেমিশে পুলিশসহ বিভিন্ন দপ্তরে চাকুরি দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন বুলবুল আহমেদ বুলি। রাতারাতি মোটরসাইকেল চালক থেকে বনে যান অঢেল সম্পত্তির মালিক। পৌরশহরের দূর্গাপুর এলাকায় তার রয়েছে চারতলা বিশিষ্ট দুইটি ফ্ল্যাট বাড়ি। সম্প্রতি যশোরের ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে জাল সার্টিফিকেট, চেকবই, সিল এবং নগদ টাকাসহ আটক করে বুলি ও পলাশ কুশরিকে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হলে তারা বেশ কয়েকমাস জেল হাজতে থাকে। এ নিয়ে দৈনিক গ্রামের কাগজসহ বিভিন্ন দৈনিকে সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়। গতকাল সোমবার দুপুর দুইটার দিকে পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য উপজেলা পরিষদের সামনে যান মনিরামপুর প্রেসক্লাবের আইসিটি বিষয়ক সম্পাদক সাংবাদিক তাজাম্মুল হোসাইন। প্রত্যক্ষদশীর্রা জানান, এ সময় বুলবুল আহমেদ বুলি ও তার এক সহযোগী মোটরসাইকেলে করে এসে লোহার রড দিয়ে তাজাম্মুলের ওপর হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারপিট করে পালিয়ে যায়। পরে স্থাণীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধারের পর উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। খবর পেয়ে প্রেসক্লাবের সভাপতি মজনুর রহমান, সাধারন সম্পাদক মোতাহার হোসেন, প্রতিদিনের কন্ঠের সম্পাদক শাহিনুর রহমান পান্নাসহ অন্যান্য সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ এবং পুলিশের এসআই অমিত কুমার হাসপাতালে গিয়ে তার খোজখবর নেন। হামলার ঘটনা জানতে বুলবুল আহমেদ বুলির মোবাইল ফোলে কল করা হলে তিনি বলেন, ভাই আমি এখন যশোরে আছি, পরে দেখা কেও বিস্তারিত জানাবো। এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় তাজাম্মুল হোসাইন বাদি হয়ে বুলবুল আহমেদ বুলিসহ দুই জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মনিরামপুর সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার ইমদাদুল ইসলাম ও থানার অফিসার ইনচার্জ নূর মোহাম্মদ গাজী জানান, এ ব্যাপারে কোন ছাড় দেওয়া হবেনা। ইতিমধ্যে বুলবুল আহমেদ বুলিকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান শুরু করেছেন পুলিশ।