===========================
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ ক্রীড়া পদক — জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত সাবেক ফিফা এলিট রেফারী তৈয়ব হাসান রাষ্ট্রীয় ও ক্রীড়া প্রটোকলে বঙ্গভবনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়ে উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে মহামান্য রাষ্ট্রপতি আয়োজিত
বঙ্গভবনের অনুষ্ঠানে পূর্ব তিমুরের মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় উপদেষ্টাবৃন্দ, মাননীয় প্রধান বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সেনাবাহিনী ও অন্যান্য বাহিনী প্রধানবৃন্দ, পদস্থ সরকারি—বেসরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ, বিদেশী রাষ্ট্রদূত—হাইকমিশনারবৃন্দ, রাষ্ট্রীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া ব্যক্তিত্বসহ দেশের বরেণ্য ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, তৈয়ব হাসানের দীর্ঘ ৩০ বছরের রেফারিং ক্যারিয়ারে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন রেকর্ড অর্জন তথা ক্রীড়াক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি “ন্যাশনাল স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ড” এবং “এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) রেফারীজ মোমেন্টো অ্যাওয়ার্ড”—এ ভূষিত হন।
বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ১৮ বছর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফিফা রেফারি হিসেবে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। তিনিই সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করেন।
দেশের ইতিহাসে প্রথম ও একমাত্র ইন্টারন্যাশনাল রেফারি অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত (এএফসি রেফারীজ মোমেন্তো অ্যাওয়ার্ড) রেফারি তৈয়ব। এশিয়ার সেরা ২৫ রেফারির তালিকায় থাকা তৈয়ব প্রথম সাউথ এশিয়ান রেফারি হিসেবে সাফ চ্যাম্পিয়নশীপের ফাইনাল ম্যাচে (নেপাল—২০১৩) প্রধান রেফারির দায়িত্ব পালন করেন। রেফারী হিসেবে তিনি সর্বাধিকবার বিদেশে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন।
সাফ চ্যাম্পিয়নশীপের ফাইনালে যে জার্সিটি পরে তিনি প্রথম সাউথ এশিয়ান রেফারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন, স্মরণীয় সেই জার্সিটি করোনা মহামারি’র সময়ে ৫ লাখ ৫৫ হাজার টাকা নিলামে বিক্রি করে করোনা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সাহায্যার্থে প্রদান করেন।
করোনা মহামারিতে এমন মহৎ কাজের জন্য তৈয়ব হাসান দেশ—বিদেশে প্রসংসিত হয়েছেন। ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোও তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে পত্র প্রেরণ করেছিলেন। তিনি রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ ক্রীড়া পদক — জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন। পুরস্কারের অর্থ একলক্ষ টাকা তিনি স্থানীয় দুস্থ—পুষ্টিহীন শিশুদের কল্যাণে প্রদান করেন।
রেফারিংয়ে তথা ক্রীড়া ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতি, বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন, সোনালী অতীত ক্লাব(ঢাকা)সহ বিভিন্ন সংস্থা—প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তাঁকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।