দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা এবার গাজা ভূ-খন্ডে হামাস যোদ্ধাদের দ্বারা প্রবল প্রতিরোধের সম্মুখিন হচ্ছে। এতোদিনে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা গাজা ভূ-খন্ডের প্রতিটি প্রান্তরে বিমান হামলা পরিচালনা করে আসলেও বর্তমানের চিত্র সম্মুর্ণ ভাবে ভিন্ন হতে ভিন্নতর। বর্তমানে গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা পথে পথে যে ভাবে প্রতিরোধের
সম্মুখিন হচ্ছে তাতে দখলদার বাহিনীর মাঝে যেমন উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ছে অনুরুপ ভাবে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর মাঝে হামাসের শক্তিও সক্ষমতার বিষয়টি আলোচিত হচ্ছে। ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় ফিলিস্তিনিরা কেবল গনহত্যায় পরিনত হচ্ছে বা বসতবাড়ী হারাচ্ছে তা নয়, দখলদার বাহিনীর বিমান আর বিষাক্ত গ্রাস সমৃদ্ধ বোমা বিস্ফরনের মাধ্যমে পুরো গাজা উপত্যকাকে রোগবালাই এর ভূ-খন্ডে পরিনত করেছে। পুরোগাজা সিটি বর্তমান সময়গুলোতে মহামরীর প্রান্তরে পরিনত হয়েছে। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর গনহত্যা হতে রক্ষা পেতে গাজা ফাঁকা স্থান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, খেলার মাঠ আশ্রয়হীন মানুষগুলো বেঁচে থাকবার প্রচেষ্টায়রত আর উক্ত আশ্রয় শিবির গুলো ছড়িয়ে পড়েছে বহুবিধ রোগ বালাই। দৃশ্যতঃ গাজা উপত্যকায় দখলদার বাহিনী যে সকল বিষাক্ত বোমার বিস্ফরন ঘটিয়েছে তার বিষক্রিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে রোগ বালাই। প্রতিটি আশ্রয় শিবিরে পোলিও, বিকলঙ্গতা, ডায়রিয়া, হাফানী, এ্যাজমা সহ নানান ধরনের রোগের উপ
স্থিতি দৃশ্যমান। কাতার ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে পুরো গাজা উপত্যকায় রোগ বালাই এমন ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে যাকে মহামারী হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। এদিকে ইসরাইল ও হিজবুল−াহর মাঝে পুরোপুরি যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে গত কয়েকদিন যাবৎ পাল্টা পাল্টি হামলায় হিজবুল−াহর অন্তত ৫০ সদস্য নিহত হয়েছে। লেবানন সরকারের পক্ষ হতে অবশ্য ১৫ লেবাননীর নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। অন্যদিকে হিজবুল−াহর হামলায় বহুসংখ্যক ইসরাইলি হতাহত হয়েছে বলে কাতার ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা জানিয়েছে। গাজা প্রান্তরে হতাহতের শিকার ইসরাইলি সেনাদেরকে গত দুই দিন যাবৎ উদ্ধারে ভূমিকা রাখছে ইসরাইলি বিমান বাহিনীর সদস্যরা। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে চলছে ব্যাপক বিক্ষোভ। আল জাজিরা টেলিভিশন জানিয়েছে ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিব সহ বিভিন্ন শহরে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থক হিসেবে পরিচিত কাতার ও মিশরে পুনরায় হামাস ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধ বিরতির আলোচার উদ্যোগ গ্রহন করেছে কিন্তু এক্ষেত্রে হামাসের অনীহার কারনে সিদ্ধান্ত নিতে সময়ক্ষেপন হচ্ছে। ইসরাইলের প্রতিনিধিরাও উক্ত বৈঠকে যোগ দিয়েছে। আল জাজিরা টেলিভিশন এর খবরে বরা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কাতার ও মিশরের মাধ্যমে হামাসের উপর চাপসৃষ্টি করতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষিত যুদ্ধবিরতির শর্তে ও প্রস্তাবে হামাসকে সম্মত আদায়ে। হামাসের সাফ কথা তারা তাদের নেতা দুর্ষর্ধ কমান্ডার ইসমাইল হানিয়ার হত্যায় প্রতিশোধ ব্যতিত কোন ধরনের যুদ্ধ বিরতির আলোচনায় ও শর্তে রাজি নয়। গাজায় প্রতিটি ঘরে ঘরে ক্ষুধা, আশ্রয় শিবির গুলোতে ছড়িয়ে পড়া মহামারীর পাশাপাশি খাদ্যভাব চরম আকার ধারন করেছে। ঐতিহাসিক রাফা শহরে ও দখলদার ইসরাইলি সেনারা হামাস যোদ্ধাদের দ্বারা প্রবল প্রতিরোধের সম্মুখিন হলেও তারা নির্বিচারে হত্যা এবং গ্রেফতার করছে সর্বাপেক্ষা উদ্বেগের কারন ইসরাইলি সেনারা লুটপাট করছে ফিলিস্তিনিদের সম্পদ।