শ্রীউলা (আশাশুনি) প্রতিনিধি \ আশাশুনির শ্রীউলায় মাদরাসা অধ্যক্ষ ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্মান হানি ও জানমালের নিরাপত্তার দাবীতে থানায় জিডি করা হয়েছে। উপজেলার গাজীপুর কুড়িগ্রাম আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মিজানুর রহমানের ছেলে অহিদুর রহমান বাদী হয়ে সাইফুল ইসলাম লিটু, সিরাজুল ইসলাম, শামীম হোসেন সুরাত, সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে জিডি (নং ৩৬১, তাং- ৯/৪/২২) করেছেন। তাদের সম্মানহানি, জীবন নাশের হুমকী ও মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানীর কারণ সম্পর্কে অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান বলেন, ২০০৭ সালে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পরীক্ষায় ১ম হলেও তাকে না নিয়ে পুনঃ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিলে ২য় বারও ১ম হন। সেবারও বোর্ড বাতিল করে ৩য় দফা বিজ্ঞপ্তি দিলে তিনি ২য় হন। বাধ্য হয়ে তিনি আশাশুনি সহকারী জজ আদালতে মামলা (৩৪/২০০৭) করেন। বিজ্ঞ আদালত নিষেধাজ্ঞা জারী করেন। ২০১১ সালে মামলা দোতরফা সূত্রে খারিজ হলে তিনি জজ কোর্টে আপীল (১৫৯/১১) করেন। ২০১৮ সালে তার (বাদী) পক্ষে রায় হলে তিনি যোগদান করেন। ২১ সালে মাদ্রাসার মাহফিলে বাজার কালেকশান মাদ্র্রাসা কর্তৃপক্ষকে তুয়াক্কা না করে জিডির ১নং বিবাদী লিটুর নেতৃত্বে আদায় করে নিজের ইচ্ছেমত সামান্য টাকা মাদ্রাসায় জমা দেয়াকে নিয়ে বাকবিতন্ডা হয়। ২২ সালে মাদ্রাসার মিটিং-এ কথা উঠলে প্রিন্সিপ্যাল কমিটির উপর দায়িত্ব ছেড়ে দেন। এসব ঘটনার জেরধরে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে মাহফিলের পূর্বের দিন ঘটনা দেখিয়ে অধ্যক্ষসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে জিআর ৪৫/২২, সিআর ৫৯/২২ মামলা করা হয়। এবং ৭ এপ্রিল অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা মানহানিকর লাইভ প্রোগ্রাম করা হয়। এরপর ৭জনকে আসামী করে জিআর ৯২/২২ নং মামলা করা হয়। মামলায় উদ্দেশ্যমূলকভাবে যারা আদৌ ঐদিন সে এলাকায় যায়নি বা ছিলনা তাদেরকে জড়ানো হয়। কিন্তু প্রবাদে আছে ‘ধর্মের কল বাতাসে নড়ে’Ñ প্রবাদকে সত্য প্রমানিত করে তাদের মামলার স্বাক্ষী ইছাহক মোল্যা, সুশান্ত কুমার মন্ডল ও আঃ হামিদ গাজী ঘটনা সঠিক নয় উলেখ করে এ্যাফিডেভিট করে দিয়েছেন। অপরদিকে মাদ্রাসার জমি জনৈক খলিলের কাছে হারি দেওয়া ছিল। টাকা পরিশোধ না করে জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টা করতে থাকলে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ অন্যত্র জমি ডিড প্রদান করেন। ফলে ষড়যন্ত্রকারীরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে মাদ্রাসার বিরুদ্ধে ও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আদাজল খেয়ে মাঠে নামে। এমনকি বামনের চাঁদ ধরার আশার মত অলীক অভিযোগ এনে মিথ্যাচার এবং অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রোপাগান্ডা শুরু করে। এমনকি মাদরাসার এতিমদের জন্য সরকারি সহায়তা যথারীতি ও কর্তৃপক্ষের তদারকির মধ্যে কমিটি ও শিক্ষকদের গোচরে ব্যয় করার পরও আত্মসাতের অমূলক রটনা করা হয়। সকল ব্যয় বিল ভাউচারের মাধ্যকে করা ও সমাজ সেবা অফিসের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে সঠিকতা যাচাই করে অনুমোদন করানোর পরও দুষ্টচক্র প্রমাদ গুণতে ছাড়েনি। এতকিছুর পরও অধ্যক্ষ ও মাদরাসার ক্ষতিসাধনে সফল হতে না পেরে তাদের আরও মিথ্যা মামলায়ি ফাঁসানো, মিথ্যা অপবাদ রটনা এবং প্রয়োজনে জীবন শেষ করে দেওয়া, মৎস্য ঘেরের ক্ষতিসাধন করার হুমকী ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করার পৃথক দু’টি ঘটনার অভিযোগ এনে থানায় ৩৬১ ও ৩১৬ নং জিডি করা হয়েছে। এব্যাপারে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান হয়েছে। সাথে সাথে মাদ্রাসার সুখ্যাতি অটুট রেখে সুন্দর ভাবে পরিচালনা এবং অধ্যক্ষসহ তাদের সকলের সম্মানহানি রোধ ও সার্বিক সম্ভাব্য ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ, আইন আদালত, প্রশাসনসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।