এফএনএস বিদেশ : বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ হিসেবে পরিচিত ফরাসি সন্ন্যাসিনী লুসিল র্যান্ডন মারা গেছেন। লুসিল র্যান্ডন ১১৮ বছর বেঁচে ছিলেন। ১৯০৪ সালের ১১ ফেব্র“য়ারি ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর আলেসের একটি প্রোটেস্ট্যান্ট পরিবারে জন্মগ্রহণ করা র্যান্ডনকে ইউরোপের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি হিসেবেও স্বীকৃতি দেয়া হয়েছিলো। মঙ্গলবার দক্ষিণ ফরাসি শহর টউলনের সেন্ট-ক্যাথরিন-লাবোর নার্সিং হোমে ঘুমের মধ্যে মারা যান র্যান্ডন। মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে। নার্সিং হোমের মুখপাত্র ডেভিড তাভেলা জানান, র্যান্ডনের মৃত্যুতে খুব কষ্ট লাগছে। তবে প্রশান্তির কথা এই যে, মৃত্যুর মধ্য দিয়ে তার মুক্তি হলো। জেরোন্টোলজি রিসার্চ গ্র“পের (জিআরবি) ওয়ার্ল্ড সুপারসেন্টেনারিয়ান র্যাঙ্কিং অনুযায়ী বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি ছিলেন তিনি। গত বছর ১১৯ বছর বয়সে জাপানের কেন তানাকার মৃত্যুর পরে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি হন র্যান্ডন। ২০২২ সালের এপ্রিলে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষের স্বীকৃতি দেয়া হয়। নিউইয়র্কে প্রথম পাতাল রেল চালু হওয়ার বছরেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন র্যান্ডন। ২৬ বছর বয়সে তিনি ক্যাথলিক হিসেবে দিক্ষা গ্রহণ করেন। র্যান্ডন এ সময় সিস্টার আন্দ্রে নাম নেন। পরে ৪১ বছর বয়সে ফ্রান্সের একটি হাসপাতালে নিয়োগ পান। সেখানে তিনি ৩১ বছর কাজ করেছেন। ২০২১ সালে তিনি কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন। সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছিলেন, কাজ এবং মানুষকে সহযোগিতা করার মানসিকরা তাকে বেঁচে থাকতে সাহায্য করে। লোকেরা যে বলে, কাজ মানুষের আয়ু কমিয়ে দেয়। তবে কাজ আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে, আমি ১০৮ বছর বয়স পর্যন্ত কাজ করেছি। নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষ জানায়, জীবনের শেষদিকে তিনি চোখের আলো হারিয়ে অন্ধ হয়ে যান। এ সময় তাকে হুইলচেয়ারে চলাফেরা করতে হতো। তিনি প্রায়ই তার ভাইদের কথা বলতেন এবং ভাবতেন মৃত্যুর পর তাদের সঙ্গে আবারও দেখা হবে।