দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ ইসরাইল হামাসকে নির্মূল করনে নয় একটি জাতিকে নির্মূল করতে, একটি জনগোষ্ঠীকে নিশ্চিহৃ করতে গাজায় অব্যাহত ভাবে বিমান হামলা সহ স্থল অভিযান পরিচালনা করছে। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা গতকাল ও গাজার উত্তর এলাকাতে মুহুর মুহুর বিমান হামলা পরিচালনা করে শতাধিক ফিলিস্তীনিকে হত্যা করেছে একই দিনে ইসরাইলি বাহিনী পশ্চিম, দক্ষিন এবং রামাল্লাতেও ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। দীর্ঘ এক মাসের অধিক সময় যাবৎ গাজার খান ইউনিসে চলমান হামলা এবং পাল্টা হামলার যে ঘটনা ঘটছে গতকাল দিন ব্যাপী ও রাতের দীর্ঘ সময় যাবৎ খান ইউনিসে হামাস যোদ্ধাদের অবস্থানের উপর হামলা করলে হামাস যোদ্ধারাও দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর অবস্থানের উপর হামলা শুরু করলে গোলাগুলি বন্দ হয়, হামাসের নিজস্ব টেলিগ্রাম বার্তায় খান ইউনিসের লড়াই সম্পর্কে বলা হয়েছে দখলদার ইসরাইল বাহিনীর সদস্যদেরকে খান ইউনিস হতে হটিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের একাধিক ট্রাংক ও সাজোয়া যান ধ্বংস করা হয়েছে। এদিকে হুতি যোদ্ধারা লোহিত সাগরের জাহাজে হামলা চালিয়েছে আর এবারের হামলা মার্কিন বাণিজ্য জাহাজে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের বানিজ্যিক জাহাজে ইয়েমেন হতে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছে ইয়েমেনের হুতি অধ্যুষিত এলাকা হতে উক্ত হামলা পরিচালনা করা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেন্টাগন জানিয়েছে যে হুতিদের ড্রোন ও ক্ষেপনাস্ত্র হামলা সফল ভাবে প্রতিহত করা হয়েছে। অন্তত দুইটি ক্ষেপনাস্ত্র ভূ-পাতিত করতে সক্ষম হয়েছে মার্কিন রনতরিতে থাকা যুদ্ধ বিমান। পশ্চিমা মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে মার্কিন জাহাজে হামলা পরিচালনা করায় জাহাজটির বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। হামলা দায় স্বীকার করে হুতিদের পক্ষ হতে বলা হয়েছে যতদিন পর্যন্ত গাজায় হামলা পরিচালনা করবে ইসরাইল ততোদিন পর্যন্ত তাদের জাহাজে হামলা দেখবে এখানেই শেষ নয় ইসরাইল সংশ্লিষ্ট জাহাজ গুলোতেও হামলা বন্ধ হবে না। এদিকে ইরান এবার ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের ঘাটিতে হামলা চালিয়েছে। সিরিয়া ও ইরাকে অবস্থিত উক্ত মোসাদ ঘাঁটিতে হামলা পরিচালনায় পাঁচজনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পশ্চিমা মিডিয়াগুলোর খবরে বলা হয়েছে ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় নাগরী ইরবিলের মুসাদ ঘাটিতে বড় ধরনের মিছাইল ক্ষেপনাস্ত্র হামলা পরিচালনা করছে ইরান। ইরানের ইসলামিক বেভুলকা নারী গার্ড কোর জানিয়েছে নিহতদের মধ্যে কুর্দি ব্যবসায়ী পেশরাও রয়েছেন। প্রচলিত আছে কুর্দির উক্ত ধনকুবের ব্যবসায়ী মোসাদের এজেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং মোসাদের ঘাটিতে অবস্থান করতো। ইরারেন মিছাইল ক্ষেপনাস্ত্রের হামলা এতটুকু শক্তিশালী ছিল যে মোসাদের ঘাঁটিটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়েগেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের হামলায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। উল্লেখ্য ইসরাইল গত দুই দুই বার একবার ইরানে ও অতি সম্প্রতি সিরিয়ায় বিমান ও ক্ষেপনাস্ত্র হামলা পরিচালনা করে ইরানের সেনা বাহিনীর উর্দ্ধতন দুই কর্মকতৃাকে হত্যা করে। এদিকে হুতিদের পক্ষ হতে আবারও হুশিয়ারী উচ্চারন করে বলা হয়েছে হুতিদের উপর হামলা করা গেলেও হুতিদের কে কোন অবস্থাতেই নির্মূল করা যাবে না। হুতিরা সামরিক দিক দিয়ে কোন ভাবেই দুর্বল নয়। এদিকে জাতিসংঘের কু যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাবে ইসরাইলের পক্ষ হতে বলা হয়েছে ইসরাইর ও চাইছে যত দ্রুত সম্ভব গাজা যুদ্ধ শেষ করতে। এই প্রথম ইসরাইলের পক্ষ হতে গাজা যুদ্ধ সমাপ্তির বিষয়ে বলা হলো। গতকাল ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইসরাইল বিরোধী ও ফিলিস্তীনিদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে প্রতিটি বিক্ষোভে হাজার হাজার মানবতাবাদী মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। ইসরাইলেও বিক্ষোভ চলছে। সাধারন ইসরাইলিদের দাবী হামাসের হাতে আটক ইসরাইলীদের যে কোন উপায়ে মুক্ত করার ব্যবস্থা করা। ইসরাইলি বাহিনী গতকালও গাজায় বিভিন্ন হাসপাতাল গুলোতে অভিযান পরিচালনা করছে। এ সময় চিকিৎসাধীন কয়েকজন ফিলিস্তীনিকে গ্রেফতার করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আবারও বলেছে গাজায় কোন বেসামরিক নাগরিক হত্যা করা যাবে না। অথচ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চাইলে ইসরাইলের হামলা একদিনেই বন্ধ করা সম্ভব।