বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দিনের প্রথম ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে ফরচুন বরিশাল। ডেভিড মালানের ফিফটির পর ফাহিম আশরাফ এবং মোহামদ নবীর ফিনিশিংয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বরিশাল। মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে খুলনা টাইগার্সকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ফরচুন বরিশাল। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোভাবেই করে খুলনা। উদ্বোধনী জুটিতে নাঈম শেখ এবং মেহেদী হাসান মিরাজ মিলে তোলেন ৪৭ রান। অধিনায়ক মিরাজ ১৮ বলে খেলেছেন ২৯ রানের ইনিংস। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৫৬ রান তোলে খুলনা। পাওয়ারপ্লে শেষেও চলেছে খুলনার তাণ্ডব। মারমুখি ব্যাটিংয়ে দ্রুত রান তুলতে থাকেন নাঈম। ২৬ বলে ছুঁয়েছেন ফিফটি। ফিফটির পরেই থেমেছেন যদিও। ২৭ বলে ৫১ রান করে দলের ৯৯ রানের মাথাতে সাজঘরে ফিরে যান নাঈম। নাঈমের বিদায়ের পর কিছুটা ঝিমিয়ে পড়ে খুলনা। মাঝে অ্যালেক্স রস ১৫ বলে ২০ রান করেন। আফিফ হোসেন ধ্রুব খেলেছেন ২৭ বলে ৩২ রানের ইনিংস। উইলিয়াম বোসিস্তো শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে করেছেন ১৬ বলে ২০ রান। শেষের দিকে ঝড় তুলেছিলেন ম্যান ইন ফর্ম মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। তার ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিংয়ে বড় পুঁজির দিকে এগিয়েছে খুলনা। ১২ বলে ২৭ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন অঙ্কন। নির্ধারিত ২০ ওভারের খেলা শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৭ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় খুলনা টাইগার্স। বরিশালের হয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন ফাহিম আশরাফ। ১টি করে উইকেট তোলেন জেমস ফুলার, মোহাম্মদ নবী এবং এবাদত হোসেন চৌধুরী। জবাব দিতে নেমে দলের ১১ রানের মাথাতে থেমেছে বরিশালের উদ্বোধনী জুটি। ৭ বলে ১১ রান করে বিদায় নেন তাওহিদ হৃদয়। তিনে নেমে অধিনায়ক তামিম ইকবালের সাথে যোগ দেন ডেভিড মালান। বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিংয়ে এগিয়েছেন তামিম—মালান। বেশিরভাগ সময়টা খেলছিলেন মালানই। ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিংয়ে এগিয়েছে বরিশাল। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৫৬ রান তুলেছে বরিশাল। পাওয়ারপ্লে শেষেও চলেছে মালানের তাণ্ডব। তামিমও সঙ্গ দিয়ে গেছেন। দলের ১০০ রানের মাথায় ২৫ বলে ২৭ রান করে আউট হয়েছেন তামিম। মালানকে থামানো যাচ্ছিল না। ফিফটি ছুঁয়ে দোর্দন্ড প্রতাপে এগিয়েছেন মালান। দলকেও রেখেছিলেন কক্ষপথে। দলীয় ১২১ রানের মাথায় ৩৭ বলে ৬৩ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নিয়েছেন মালান। এরপর জুটি গড়েছেন মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দুজনের জুটি থেকে এসেছে ৩১ রান। রিয়াদ আউট হয়েছেন ১৩ বলে ২৪ রানের ক্যামিও খেলে। রিয়াদ আউট হওয়ার পরের বলেই আউট হয়েছেন মুশফিক। ১৭ বলে ২৪ রান করে বিদায় নেন মুশফিকুর রহিম। দুই সেট ব্যাটারকে টানা দুই বলে হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায় ফরচুন বরিশাল। সেই চাপ থেকে দলকে উদ্ধার করার অভিযানে নামেন ফাহিম আশরাফ এবং মোহাম্মদ নবী। ঠাণ্ডা মাথার ব্যাটিংয়ে বরিশালকে জয়ের বন্দরে নিয়ে গেছেন দুজন। শেষ দুই ওভারে দরকার ছিল ১৩ রান। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে সমীকরণ নেমে আসে ৬ বলে ১ রানে। ৫ বল হাতে রেখে ম্যাচ জিতে নেয় বরিশাল। নবী অপরাজিত ছিলেন ১০ বলে ১৫ রান করে। ফাহিম টিকে ছিলেন ৬ বলে ১৮ রানের ইনিংস খেলে। ৫ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটের জয় পেয়েছে ফরচুন বরিশাল। খুলনার হয়ে ২টি করে উইকেট শিকার করেন আবু হায়দার রনি। ১টি করে উইকেট নেন সালমান ইরশাদ এবং আফিফ হোসেন ধ্রুব।