এফএনএস: খ্রিষ্টীয় নতুন বছরের শুরুতেই বেড়েছে শীতের দাপট। শৈত্যপ্রবাহ থাকতে পারে এ মাসের শেষার্ধজুড়ে। পাশাপাশি চলতি জানুয়ারি মাসে শীত তীব্র হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি জানুয়ারি মাসে দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিক অপেক্ষা বেশি থাকতে পারে। তবে দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য থাকার কারণে শীতের অনুভূতি বাড়বে। আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, এ বছর ঘন কুয়াশাটা অনেক বেশি থাকবে। এর ফলে শীত তীব্র হবে। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলেও অনুভূতি হতে পারে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো। যেমনটা গতবছর ছিল। দিনের বেলায় ঠান্ডা বাতাসের সঙ্গে শীতের তীব্রতাও বেশি থাকবে। তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত তীব্র শীত থাকবে। তবে এরপর তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে বাড়বে। তখন ধীরে ধীরে শীতে কমতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের মাসব্যাপী পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, জানুয়ারি মাসে দেশের পশ্চিম, উত্তর ও উত্তর—পূর্বাঞ্চলে ১—২টি মাঝারি (৬—৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) থেকে তীব্র (৪—৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস) শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ সময় দেশের অন্যত্র ২—৩টি মৃদু (৮—১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) থেকে মাঝারি (৬—৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মমিনুল ইসলামের সই করা এই পূর্বাভাসে বলা হয়, এ মাসে দেশের উত্তর, উত্তর—পূর্বাঞ্চল, পশ্চিম, দক্ষিণ—পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে এবং নদ—নদী অববাহিকায় মাঝারি/ঘন কুয়াশা এবং অন্যত্র হালকা/মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে। ঘন কুয়াশা পরিস্থিতি কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িক ব্যাহত পারে। এছাড়াও দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে ১—২টি লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যার মধ্যে একটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এ সময়ে দেশে স্বাভাবিক অপেক্ষা কম বৃষ্টিপাতের আভাস রয়েছে। আবহাওয়াবিদ ড. মো. বজলুর রশিদ জানিয়েছেন, উপ—মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্য রাত থেকে দুপুর পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীন নদী পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা ১—২ সেঃ হ্রাস পেতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে সারাদেশের কোথাওনকোথাও দিবাভাগে শীতের অনুভূতি বিরাজমান থাকতে পারে। শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্য রাত থেকে দুপুর পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীন নদী পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে। সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে সারাদেশের কোথাও কোথাও দিবাভাগে শীতের অনুভূতি বিরাজমান থাকতে পারে। শনিবার সকাল থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে। সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে সারাদেশের কোথাও কোথাও দিবাভাগে শীতের অনুভূতি বিরাজমান থাকতে পারে। বর্ধিত পাঁচনদিনের শেষের দিকে তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাতে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।