এফএনএস আন্তার্জাতিক ডেস্ক: মিয়ানমারের উত্তাল উত্তরাঞ্চলে চলমান সংঘাত কিছুটা প্রশমিত করতে নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে চীন। জান্তা বাহিনী ও ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মির (এনডিএএ) মধ্যে চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তি পর্যবেক্ষণের লক্ষ্যে দেশটি একটি প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে। গত মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কুও চিয়াখুন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। খবর চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিএমজি’র।
চিয়াখুন জানান, চীনের এই প্রতিনিধি দল এরই মধ্যে মিয়ানমারের লাশিও শহরে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার সকালেই ওই এলাকা ছেড়েছে এনডিএএ বাহিনী এবং তাদের দখলকৃত অঞ্চল মিয়ানমার সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এই শান্তিপূর্ণ প্রত্যাহার চীনের মধ্যস্থতায় সম্পন্ন হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
চীনের কুনমিং শহরে অনুষ্ঠিত শান্তি আলোচনার ভিত্তিতে এই যুদ্ধবিরতি ও পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। চিয়াখুন জানান, উভয় পক্ষের সম্মতিতে গৃহীত এই পদক্ষেপ শুধু তাৎক্ষণিক সংঘাত রোধেই নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠারও লক্ষ্যে গৃহীত। তিনি আশা প্রকাশ করেন, কুনমিং আলোচনার মাধ্যমে মিয়ানমারের উত্তরের পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথে আরও একধাপ এগোবে।
মিয়ানমারকে “বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী” আখ্যা দিয়ে চিয়াখুন বলেন, “উভয় দেশের স্বার্থ রক্ষা ও অঞ্চলে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি-স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে চীন সবসময়ই সক্রিয় ভ‚মিকা পালন করবে।” এ মন্তব্যে চীন-মিয়ানমার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গুরুত্ব ও ভবিষ্যৎ ক‚টনৈতিক অবস্থানের ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
বিশ্লেষকদের মতে, চীনের এ পদক্ষেপ শুধু সীমান্ত অঞ্চলে শান্তি রক্ষার কৌশল নয়, বরং এটি তাদের কৌশলগত প্রভাব বিস্তারেরও অংশ। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চীনের নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষায় মিয়ানমারের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অপরিহার্য।