হত্যাকারীদের গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তীর দাবী
স্টাফ রিপোর্টার ॥ সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মৃগিডাঙ্গা গ্রাম কাঁদছে। হতবিহ্বল, শোকাহত সেই সাথে ক্ষুব্ধ গোটা গ্রাম। মৃগিডাঙ্গা গ্রাম বরাবরই শান্ত, অথচ সে খানেই ঘটে গেল মধ্যযুগীয় নির্মম, নিষ্ঠুর বর্বরতা। অন্যান্য দিনের মত সোমবারও গ্রামটিতে সুর্য উঠেছিল, গ্রামবাসি প্রতিদিনের ন্যায় সেদিনও কাজ কর্মে ছিল। রোজনামচায় কোন ধরনের ঘাটতি ছিল না। দেশে সরকার পতন আন্দলোন চলে−ও গ্রামটিতে কয়জন তা খোজ রাখে। মর্মান্তিক আর নিষ্ঠুরতার বলি মামা ভাগ্নে তহিদুল ও সাইফুল জানতো না মৃত্যু দুত তাদের অপেক্ষায়। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসে, অন্যদিনের ন্যায় সেদিন ও তারা বসতবাড়ীতে অবস্থান করছিল। কোন ঝামেলা, গোলযোগ বা রাজনীতির হাওয়া তাদের সাথে সম্পৃক্ত ছিল না। গ্রাম্য সহজ সরল জীবন যাপনে অভ্যস্থ। জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের বিষয়টি গ্রামের সকলের জানা, আদালতে দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলাও চলছিল। অন্ধকারাচ্ছন্ন আবহে জেল পালানো খুনি চক্র উপস্থিত হলো চিরশান্ত মৃগিডাঙ্গা গ্রামের মৃত জবেদ আলীর বাড়ীতে। চরম নিষ্ঠুরতা আর নৃসংষতাকে সঙ্গী করে হত্যা করলো মামা ভাগ্নেকে। হত্যাকরী জেল পলাতক একই গ্রামের লুৎফর রহমানের পুত্র আবু হোসেন ও গফুরের পুত্র ফিরোজ। হত্যা কান্ডের শিকার তহিদুল ও সাইফুলদের দায়ের করা মামলায় তারা কারাগারে ছিল। এই হত্যাকান্ড সাতক্ষীরার সীমান্ত পেরিয়ে আশপাশের জনপদকে ও বিবর্ণ করেছে। সোমবারের পৈশাষিক হত্যাকান্ড ইতিহাসের অন্যতম নির্মমতা আর অসহায়ত্বর কথাই বলে যাবে। পুলিশ তখন নিজেদের রক্ষায় তৎপর এবং এক ধরনের বিশৃঙ্কলা পরিবারটি লাশ নিয়ে বসে থেকেছে। হতভম্ব থেকেছে লাশ উদ্ধার, ময়না তদন্ত, পুলিশী অভিযান, আসামীদের গ্রেফতার সব কিছুই যেন অধরা। পুলিশ বর্তমানে নিজস্বতায় ফিরেছে। জনসাধারনের জানমাল রক্ষায় প্রহরী পুলিশী তৎপরতা এবং হত্যাকারীদের গ্রেফতার এখন সময়ের দাবী। শান্ত গ্রামবাসি অপেক্ষার প্রহন আছেন। নিহতদের পরিবার স্বজন হারানোর বেদনাকে সঙ্গী করে হত্যার বিচার চাইছেন। নিশ্চই হত্যাকারীরা আইনের আওতায় আসবে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পাবে।