ইসরাইলি বাহিনী অবরুদ্ধ ॥ নির্বিচারে গুলি ॥ হামাস প্রধান এবার যুদ্ধক্ষেত্রে ॥ সামরিক প্রধান দাইফ গাজায় ॥ বীরদর্পে দখলদারদের প্রতিরোধে হামাস ॥ পাঁচ হাজারের অধিক ইসরাইলি সেনা হত্যা ॥ আহত ও পঙ্গু দশ হাজার ॥ ইসরাইলের সামরিক স্থাপনায় হামলা ॥ ইসরাইলের প্রতিরোধ হামলা ॥ লেবানন এবার হামলা চালালো ॥ ইসরাইলের বিমান হামলা তীব্র হতে তীব্রতর ॥ ইসরাইলের আবার ও ইরান আতঙ্ক ॥ ওআইসির কঠোর হুশিয়ারী ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আবারও ইসরাইলকে অস্ত্র সহায়তা দিচ্ছে ॥ নেতানিয়াহু ও জো বাইডেন ফোনালাপ ॥ ইসরাইলকে আবারও হুমকি তুরস্কের ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইরানকে হুশিয়ারী ॥ রাফা শহরে চলছে লুটপাট ॥ সর্বত্র হামাসের প্রতিরোধে ইসরাইলি সেনা ॥ তেল আবিবে আবারও বিক্ষোভ ॥ ভেঙ্গে যেতে পারে ইসরাইলি সরকার ॥ গাজা উপত্যকায় অভুক্তদের সংখ্যা বাড়ছে
দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা গাজা উপত্যকায় গত চব্বিশ ঘন্টায় হামাস যোদ্ধাদের দ্বারা চরম প্রতিরোধের মুখে পড়েছে। গত দশ মাসের অধিক সময় যাবৎ দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা শুধু মাত্র হত্যাই করে চলেছে এবং মাঝে মধ্যে হামাস যোদ্ধাদের দ্বারা ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা হামলায় হতাহত ও হত্যাকান্ডের শিকার হলেও গত চব্বিশ ঘন্টায় হামাস যোদ্ধাদের হামলায় দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা চরমভাবে হতাহতের শিকার হয়েছে। হামাস যোদ্ধাদের পক্ষ হতে ঘোষনা দেওয়া হয়েছে যে দখলদার বাহিনীর অন্তত পাঁচ সেনা নিহত হয়েছে এবং উলে−খযোগ্য সংখ্যক সেনা আহত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে হামাসের এমন প্রতিরোধ হামলা দখলদার ইসরাইলি বাহিনীকে বিশেষ ভাবে আতঙ্কের মুখে ফেলেছে। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর হামলা এবং হত্যাকান্ড ইতিমধ্যে ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে। প্রতিদিনই হত্যার মিছিল দীর্ঘ হতে দীর্ঘায়িত হচ্ছে। গাজায় নিহতদের সংখ্যা এতটুকু দীর্ঘায়িত হয়েছে যে দখলদার বাহিনীর নির্মম এবং নিষ্ঠুর হত্যাকান্ডের কল্যানে গাজা সিটির উলে−খযোগ্য অংশ যায়গা পরিপূর্ন। বর্তমান সয়গুলোতে গাজা ভূ-খন্ডের ফাঁকা জায়গা নেই যে স্থানে লাশ দাফন করা যাবে। দিনে দিনে গাজার স্থলভাগ সংকীর্ন হয়ে পড়েছে। কাতার ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে গাজা উপত্যকার এমন কোন প্রান্তর নেই, এমন কোন ভূ-খন্ড নেই যে এলাকাতে লাশ দাফন হইনি, শত শত সহস্র কবরের অস্তিত্ব গাজা ভূ-খন্ডে। সাম্প্রতিক সময়গুলোতে গাজায় নিহত ফিলিস্তিনিদের কবর দেওয়ার যায়গার সংকট সৃষ্টি হওয়ায় দৃশ্যতঃ গাজা সিটিতে লাশের স্তুপের সারি বেড়েই চলেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছে, ইসরাইলকে সুরক্ষা দানে যা যা কিছু করার প্রয়োজন সম্ভাব্য সব কিছুই করবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ইতিমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলকে সুরক্ষা দিতে যুদ্ধ জাহাজ রনতরি এবং যুদ্ধ বিমান সরবরাহ করেছে একই ধারাবাহিকতায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন অতি সম্প্রতি ইসরাইলকে অধিকতর অস্ত্র সরবরাহ করা হবে। এদিকে গাজার বিভিন্ন এলাকাতে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী হামাস যোদ্ধাদের দ্বারা প্রতিরোধ হামলার মুখে পড়েছে। দখলদার বাহিনী অবরুদ্ধ অবস্থায় থাকায় হামাস যোদ্ধাদের উপর নির্বিচারে গুলি বর্ষন করলেও উত্তর, মধ্যও পশ্চিম গাজার বিভিন্ন এলাকাতে দখলদার বাহিনী অত্যন্ত বিপর্যয়কর পরিস্থিতির সম্মুখিন। হামাস প্রধান ইয়াহিয়া গত কয়েকদিন যাবৎ হামাস যোদ্ধাদের মনোবল বৃদ্ধির লক্ষে গাজায় যুদ্ধ ক্ষেত্রে অবস্থান করছে। অন্তত দশহাজারের অধিক হামাস যোদ্ধা পাঁচ হাজারের অধিক দখলদার ইসরাইলি সেনাকে হত্যা করেছে। হামাস যোদ্ধাদের হামলায় অন্তত দশ হাজারের অধিক দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরন করে ইসরাইলের প্রতিবন্ধী উন্নয়ন কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন আছে। অবশ্য ইসরাইলের পক্ষ হতে তাদের পাঁচ হাজার সেনা হতাহতের খবরের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত করেনি এদিকে হামাস প্রধানের পাশাপাশি হামাসের সামরিক প্রধান দেইফ গাজায় যুদ্ধরত হামাস সদস্যদের সাথে অবস্থান নিয়ে যুদ্ধ করছে। এদিকে হিজবুল−াহ পুনরায় ইসরাইলের সামরিক স্থাপনায় ক্ষেপনাস্ত্র হামলা পরিচালনা করে সামরিক ঘাঁটির ক্ষতি হয়েছে উক্ত হামলার পরপরই ইসরাইল লেবাননে হামলা চালিয়েছে। ইসরাইলের ভূ-খন্ডে ইরান হামলা পরিচালনা করবে এমন টি বিশেষ ভাবে স্বীকৃত যে কারনে ইসরাইলের মাঝে ইরান আতঙ্ক বিরাজ করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ হতে বলা হয়েছে ইরান যদি ইসরাইলে হামলা পরিচালনা করে তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বসে থাকবে না। তুরস্ক আবারও ইসরাইলকে হুমকি দিয়ে বলেছে অবিলম্বে ফিলিস্তিনি নিধন বন্ধ না করলে ইসরাইলকে চরম মূল্য দিতে হবে। গাজা উপত্যকার উত্তর, মধ্য ও পশ্চিম গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা হামাস যোদ্ধাদের দ্বারা তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়েছে। গাজা ভূ-খন্ডের প্রতিটি এলাকাতে ফিলিস্তিনিরা ক্ষুধার যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে। না খেতে পেরে মৃত্যুমুখে পতিত হচ্ছে ফিলিস্তিনিরা।