সাতক্ষীরার ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের স্বাক্ষী প্রাণ সায়ের খাল, জেলা শহরের মধ্যবর্তী স্থান দিয়ে প্রবাহমান খালটি বৃটিশ শাসনামলে সাতক্ষীরার জনদরদী দানবীর খ্যাত জমিদার প্রাণ নাথ রায় চৌধুরী নিজ অর্থে খনন করেন যা সত্যিকার অর্থে জমিদার প্রাণনাথ রায় চৌধুরীর অমরকির্তী। সাতক্ষীরার ইতিহাস ঐতিহ্য আর সৌন্দর্য্যরে একদার লীলাভূমি প্রাণ সায়ের খালটি বর্তমান সময়ে সাতক্ষীরার দুর্গন্ধ আর অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতির অবতরনা ঘটিয়েছে। শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির পরিবর্তে অসুন্দর খালে পরিনত হয়েছে। শহরের সুমুদয় ময়লা আবর্জনার স্তুপের কারখানায় পর্যবসিত ইতিহাসের স্মৃতি বিজড়িত প্রাণ সায়ের খাল। সাতক্ষীরা শহরের পানি নিষ্কাষনের একমাত্র মাধ্যম এই খালটি সাতক্ষীরা শহরের মানুষের অতি প্রয়োজনীয় এই খালটির বর্তমান অবস্থা সাম্প্রতিক নয় দির্ঘদিন যাবৎ দখলে এবং দুষনে প্রাণ সায়ের ধুকে ধুকে মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছে। জমিদার প্রাণ নাথ রায় চৌধুরীর স্মৃতি বিজড়িত প্রাণ সায়ের মৃত্যু প্রায়। প্রাণহীন এই খালটির প্রাণ ফিরেয়ে আনতে হবে। প্রানের সঞ্চার ঘটাতে হবে। একদা দীর্ঘ তের কিলোমিটার দীর্ঘ এই খালটি সাতক্ষীরা শহর সহ আশপাশের এলাকার ব্যবসা বানিজ্যের ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচিত হতো। দুরদুরান্ত হতে পণ্যবাহী, পালতোলা সব বাহারী নৌকা এসে ভিড়ত এল্লার চরে। আর মরিচ্চাপের মোহনা পেরিয়ে এল্লারচর হয়ে পণ্যবাহী সব নৌকা শহরের অভ্যন্তর ভাগে প্রবেশ করতো, দৃশ্যতঃ বৃটিশ শাসনামলেই সাতক্ষীরা শহর গড়ে উঠে এবং সে জন্য এই মৃত প্রায় প্রাণ সায়ের খালের ভূমিকা ছিল অনন্য। সাতক্ষীরার সুনাম এবং সখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে, জেলা শহরে সাতক্ষীরা উন্নয়নের ক্ষেত্রে পরিনত হয়। সমৃদ্ধ বানিজ্য কেন্দ্রে পরিনত লাভ করে। কিন্তু বর্তমানের চিত্র কেবল অস্বাস্থ্যকর বা ডাস্টবিনে পরিনত হওয়া নয় মনে হয় প্রাণ সায়ের যেন একটি ড্রেন, স্রোতন্বেষী প্রাণ সায়েরের মহল বিশেষ অসম ব্যবসা করেছে। সময়ে সময়ে প্রাণ সায়ের খননে অর্থ বরাদ্ধ হলেও তা অনিয়মের মাধ্যমে শেষ হয়েছে। সাতক্ষীরা শহরকে রক্ষা করতে হবে, প্রাণ সায়ের প্রানের স্পন্দন সৃষ্টি করতে হবে। প্রাণ সায়ের হতে পারে নান্দনিক সৌন্দর্যমন্ডিত স্পট। আমরা আমাদের অবস্থান হতে প্রাণ সায়ের রক্ষায় কাজ করি। সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করি, সাতক্ষীরা শহরের প্রাণকে বাঁচাই।