দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা গোটা গাজা উপত্যকাকে মৃত্যু পুরীতে পরিনত করেছে। ২৩ লাখের ফিলিস্তিনি অধ্যুষিত গাজা উপত্যকায় ইতিমধ্যে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা ৩৮ হাজারের অধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। ক্ষুদ্র আয়তনের গাজায় তাই সর্বত্র লাশ আর লঅশ। কাতার ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা জনিয়েছে ইতিহাস আর ঐতিহ্যের ধারক পবিত্রভূমি খ্যাত গাজা উপত্যকা দৃশ্যতঃ মৃত্যুপুরীতে পরিনত হয়েছে। ধ্বংস স্তুপের মাঝে লাশ, সড়কে খোপ খাপে লাশ, দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা ফিলিস্তিনিদের লাশগুম করতে গন কবর ও দিয়েছে। গত দশ মাসের গণহত্যা ও হামলায় যেমন ৩৮ হাজারের অধিক নিরীহ ও নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে অনুরুপ ভাবে অগনিত গণ কবর সৃষ্টি করেছে দখলদার বাহিনী খান ইউনিস, রাফা, ও উত্তর গাজায় সর্বাধিক গন কবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। গণ কবর গুলোর পাশে স্বজনহারা ফিলিস্তিনিরা ভিড় জমাচ্ছে তাদের হারিয়ে যাওয়অ স্বজনের খোজে। গতকাল আল জাজিরা টেলিভিশনের প্রতিবেদন বলা হয়েছে আবারও লাশ উদ্ধার করেছে হামাস নিয়ন্ত্রীত ফিলিস্তিনি উদ্ধারকারীরা। উত্তর গাজার কিছু এলাকা হতে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী সরে যাওয়ায় উদ্ধার কারীলা উদ্ধারে তৎপরতা পরিচালনা করলে দখলদার বাহিনীর হামলায় নিহত এবং ধ্বংস স্তুপে থাকা ৬০ ফিলিস্তিনির লাশ উদ্ধার করেছে উদ্ধার কারীরা। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা বসতবাড়ীতে বিমান হামলা পরিচালনা করে বাড়ীতে অবস্থান কারীরা নিহত হয় এবং ধ্বংস স্তুপের মাঝে নিহত ফিলিস্তিনিদের লাশ আটকা পড়ে গতকাল উক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বিশ্ব মানবতা আজ কাঁদছে। প্রকাশ্যে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা নিরীহ ও নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদেরকে একের পর এক হত্যা করছে যা গণহত্যাই শেষ কথা। গাজায় যুদ্ধরত হামাস যোদ্ধারা ভাল অবস্থানে।তারা তাদের বীরত্ব, শক্তি আর সামর্থকে সঙ্গী করে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর বিরুদ্ধে মরনপন অসম যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। অতি সম্প্রতি হামাস ইসরাইল যুদ্ধ বিরতি আলোচনায় হামাসের পক্ষ হতে কিছু শর্ত প্রত্যাহার করলে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর পক্ষ হতে এমন ধারনা জন্মায় যে হামাস হয়তবা দুর্বল ও ক্ষমতাহীন শক্তিহীন হয়ে পড়েছে। কিন্তু নাতা নয়,হামাস শক্তি আর সামর্থে উচ্চতায় লেবাননে অবস্থানরত হামাস নেতা ইয়াহিয়া জানিয়েছ গত দশ মাসে গাজায় হামাস যোদ্ধারা যুদ্ধ রত এই দশ মাসের ব্যবধানে বর্তমান সময়ে হামাস ভাল অবস্থানে আছে, এদিকে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর প্রধান ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু বিরোধী বিশাল বিক্ষোভ ও সমাবেশ হয়েছে। রাজধানী তেল আবিবে। ইসরাইলি নাগরিকদেরকে উদ্ধার এবং গাজা যুদ্ধ বন্ধের দাবীতে হাজার হাজার ইহুদী গতকাল ইসরাইলের সড়ক গুলোতে নেমে আসে। ধারনা করা হচ্ছে উক্তবিক্ষোভে দেশটির কোন কোন মন্ত্রী এবং সেনা কর্মকর্তাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সমর্থন থাকতে পারে। গতকালও দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা গাজার বিভিন্ন এলাকাতে গণহত্যা পরিচালনা করেছে। বিশেষ করে খান ইউনিস ও উত্তর গাজায় সর্বাপেক্ষা হামলা চালিয়েছে। তবে রাফা শহরের দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা হামাস যোদ্ধাদের কঠিন প্রতিরোধের মুখেপড়েছে। সম্প্রতি রাফা শহরটিতে হামাস যোদ্ধারা অত্যন্ত সুসংগঠিত। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর জন্য আতঙ্ক আর মরণফাদ হলো গাজার সুড়ঙ্গগুলো। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর উপর যতগুলো হামলা পরিচালিত হয় তার অধিাকংশই ফিলিস্তিনিদের তথা হামাসের সুরক্ষিত সুড়ঙ্গ গুলো থেকেই। এদিকে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা আবারও ইসরাইলের অভ্যন্তরে ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালিয়েছে আর এবারের ক্ষেপনাস্ত্র হামলায় ইসরাইলের সেনা ঘাঁটির ব্যাপক ক্ষতির পাশাপাশি এক ইসরাইলি সেনার নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ইসরাইল তার সেনা নিহত ও হামলার খবর স্বীকার করেছে। দখলদার বাহিনী চাইছে গাজায় দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি হোক, না খেতে পেরেও ফিলিস্তিনিরা মৃত্যুমুখে পতিত হোক আর তাদের ত্রানে বাঁধা দেওয়ায় ফিলিস্তিনি দুর্ভিক্ষ হতে চলেছে।